স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য টাকার অভাব হবে না। কিন্তু চিকিৎসার মান বাড়াতে হবে। সেবা বাড়ানো মানে নামে সেবা বাড়ানো নয়। কার্যকরভাবে দ্রুত মান বাড়াতে হবে।
Advertisement
শুক্রবার (১২ জুন) বিকেল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতে সেবা বাড়ানোর জন্য যা কিছু করার দরকার, তা করা হবে। সেবা বাড়ানো মানে নামে সেবা বাড়ানো নয়। ইফেকটিভলি সেবা যতক্ষণ বাড়ানো যাবে এবং সুযোগ থাকে বাড়ানোর, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কখনো না করব না। একটি মিনিস্ট্রির কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা, এটা অনেক টাকা। এটা খরচ করতে অনেক দিন লাগবে। তাদের টাকার অভাব হবে না।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য টাকার কোনো অভাব হবে না। কিন্তু তাদের সার্ভিসটা নিশ্চিত করতে হবে। ইফেকটিভ সার্ভিস দিতে হবে। উন্নত দেশের কথা বলব না, আমাদের সমমানের যেসব দেশ যে মানের চিকিৎসা সেবা দেয়, অন্তত সে মানে দ্রুত চলে আসতে হবে।’
Advertisement
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, এবার যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে সেটাতে মূলত মানুষকে রক্ষা করাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। টাকা কোথা থেকে আসবে সেটা পরে দেখা যাবে। আগে আমরা খরচ করতে চাই। পরে আয় করব।
তিনি বলেন, এবারের বাজেট দেয়া হয়েছে মানুষকে রক্ষার জন্য। মানুষকে খাবার দিতে হবে। চাকরি হারাদের চাকরি দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে। এবারের বাজেটে আমরা এসব গুরুত্ব দিয়েছি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আশা করি, এ বাজেট আমরা যেভাবে সাজিয়েছি, সেভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের প্রত্যাশা হলো করোনা বেশিদিন প্রলম্বিত হবে না। যেহেতু আইএমএফ বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। ইতোমধ্যে আমাদের ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা আছে। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। এজন্য বাজেটটি আমরা দিয়েছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) বাজেট প্রস্তাবে করোনা মোকাবিলায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
Advertisement
পিডি/এমএফ/জেআইএম