প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানের স্থান হিসেবে উল্লেখযোগ্য তালিকায় রয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তন, সিরডাপ মিলনায়তন, পাবলিক লাইব্রেরীসহ অসংখ্য মিলনায়তন। গণমাধ্যমের কভারেজ পাওয়ার আশায় জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বা প্রেসক্লাবের সামনে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন আলোচনা সভা, সমাবেশ, সেমিনার, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় সময় চোখে পরে বিভিন্ন ভূইফোঁড় সংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধন, আলোচনা সভা, সেমিনার। আর কর্মসূচিগুলোর বেশির ভাগই হয় লোক দেখানো। দর্শক বা শ্রোতার আসনে বসে থাকেন ভাড়ায় আনা লোকজন, আর অন্যদিকে মানববন্ধনে অংশ নেয় ভাড়া করা মানববন্ধনকারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাড়ায় আসা ব্যক্তিরা অধিকাংশই বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। তারা খণ্ডকালীন হিসেবে এসব কাজ করে থাকেন। আবার অনেকে নিয়মিত হয়েছেন এই পেশাতেই। আলোচনা সভা বা মানববন্ধন শেষে দাঁড়িয়ে থাকা ভাড়াটে কর্মীদের প্রায়ই টাকা ভাগাভাগি করতে দেখা যায়। এমন এক দৃশ্য দেখে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক পরিচয় গোপন করে কিসের টাকা ভাগাভাগি হচ্ছে জানতে চাইলে মতিন নামের এক ভাড়াটে মানববন্ধনকারী জানান, মানববন্ধনের টাকা। এরা কইছিলো এক ঘণ্টা দাঁড়ানোর কথা, কিন্তু দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে মানববন্ধন শেষ হতে। কত টাকা পাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানববন্ধনে ৮০ টাকা, আর সেমিনার হলে ১২০ টাকা পাই, যদি ভালো প্রোগ্রাম হয় তাহলে সাথে এক প্যাকেট খাবারও পাওয়া যায়। নামসর্বস্ব বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধনকারী বা ভাড়ায় শ্রোতা জোগাড় করে দেন এমন একজনের সাথে গ্রাহক সেজে কথা বললে তিনি জানান, যত লোক চান ততই দিতে পারবো, প্রেসক্লাবের সামনে বা এর আশ-পাশে হলে ১২০ টাকার মত লাগবে। আর সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন হলে ৮০ টাকা। এছাড়া আমরা মাইকও ভাড়া দিই। ভাড়ায় মানববন্ধনে অংশ নেয়া সুলতান আহমেদের কাছে কি বিষয়ে মানববন্ধন করলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আলোচনার বিষয়, দলটল বুঝি না, যারা টাকা দেয় তাদের হয়ে মানববন্ধন করে দিই।এএস/এসআইএস/আরআইপি
Advertisement