খেলাধুলা

যে ইনিংসের সুবাদে জাতীয় দলে সুযোগ পান কোহলি

২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই ভারতের জাতীয় দলের রাডারে চলে এসেছিলেন বিরাট কোহলি। অপেক্ষা ছিল প্রথম সুযোগের। যা তিনি পেয়ে যান একটি সেঞ্চুরির সুবাদে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই জাতীয় দলের দরজা খুলে নেন কোহলি।

Advertisement

একই বছর অস্ট্রেলিয়াতে হচ্ছিল ইমার্জিং ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ টুর্নামেন্ট। সে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় ভারত। নিজ দলকে জেতানোর পথে ১২৩* রানের ইনিংস খেলেন কোহলি, ইনিংস সূচনা করতে নেমে অপরাজিত থাকেন শেষপর্যন্ত।

সেই সেঞ্চুরির সুবাদেই জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যান কোহলি- এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তখনকার নির্বাচক কমিটির প্রধান দিলিপ ভেংসরকার। তখন কোহলিকে সময়মতো সুযোগ দেয়াটাকে নিজের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত হিসেবেই মেনে থাকেন ভেংসরকার।

ভারতীয় ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্পোর্টসকিড়ার সঙ্গে এক লাইভ সেশনে ভেংসরকার বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ, তারা ২৪০-২৫০ রান করেছিল। বিরাট কোহলিকে ওপেনিং করতে বলা হলো এবং সে ১২৩ রানের ইনিংস খেলল। আমার যেটা ভালো লেগেছিল, নিজের সেঞ্চুরির পরেও দলের জয় নিশ্চিত করে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছিল।’

Advertisement

তিনি বলতে থাকেন, ‘কোহলির এই জিনিসটা আমার খুবই ভালো লেগে যায়। আমার মনে হয়েছিল, এই ছেলেটাকে জাতীয় দলে জায়গা দেয়া উচিৎ। কারণ সে মানসিকভাবে অনেক এগিয়ে ছিল। পরে আমরা তাকে সুযোগ দেই এবং বাকিটা তো দেখতেই পাচ্ছেন।’

এসময় কোহলিকে সেই ইমার্জিং দলে রাখার কারণও জানান ভেংসরকার। তিনি বলেন, ‘যখন অস্ট্রেলিয়ায় ইমার্জিং খেলোয়াড়দের টুর্নামেন্ট শুরু হয়, তখন আমি নির্বাচক কমিটির প্রধান। চিন্তা করলাম এমন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়া উচিৎ, যারা খুব শিগগিরই জাতীয় দলে ডাক পেতে পারে। তাই আমরা কোহলিকে ঐ দলে নেই।’

এসএএস/এমএস

Advertisement