ভারতের কাঁটাতারে বেষ্টিত পাহাড়ি গ্রাম সোমনাথপাড়া। এ গ্রাম বন-বৃক্ষের সবুজে ঘেরা। টিলার নিচে রয়েছে ঝর্ণা। ছায়া সুনিবিড় এ গ্রামটির বাড়িগুলো দেখে মনে হবে যেন নীল আকাশের নিচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আপনি। তাই একদিনের সফরে ঘুরে আসতে পারেন এ গ্রাম।অবস্থান: জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী সোমনাথপাড়া গ্রামে শুধু ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। তারা গারো সম্প্রদায়ের। গ্রামের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্ত জুড়ে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া। দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে ঘোড়াগ্রী, দক্ষিণে বালুঝুরি ও দক্ষিণ পশ্চিম কোনে সাতানিপাড়া গ্রাম। তবে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোও প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে।নামকরণ: লোক মুখে প্রচলিত- সোমনাথ নামে এক ধর্মযাজক প্রথম এ গ্রামে এসে বসতি করেন। তার মৃত্যুর পর থেকে গ্রামটির নাম হয় সোমনাথপাড়া।বসতি: সোমনাথপাড়ায় ২৫টি পরিবার রয়েছে। পাহাড়ি ঝোঁপ-জঙ্গলে বেষ্টিত এ গ্রামে প্রায় দেড়শ’ ভোটার রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে ছোট-বড় টিলা ভূমি রয়েছে ২০-২৫টি। এসব টিলার উপরেই ঘর-বাড়ি।উৎসব: সোমনাথপাড়ায় ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে বড় দিন ও ওযানগালা অনুষ্ঠিত হয়। গারোদের প্রাচীন এ উৎসব প্রতিবছরই পালিত হয়। শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ সবাই মিলে শালজং দেবতাকে পূজা করেন। গারো মেয়েরা কৃঞ্চতা মাগে প্রাচীন সাজে শস্য বুনন, পরিচর্যা, উত্তোলন, প্রকিয়াজাত ও খাওয়ার পদ্ধতি সংস্কৃতির মাধ্যমে তুলে ধরেন। মান্দি সংস্কৃতির গ্রীকা, গৌরিরূপ, দুখুসুপ, কবিতা, কৌতুক, গল্প ও নাচ গানে মেতে উঠে তারা।সতর্কতা: মাঝে মাঝে বন্যহাতির আক্রমণে পড়তে হয়। তাই ভ্রমণে গেলে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো।কীভাবে যাবেন: দেশের যেকোনো স্থান থেকে বাসে বা যেকোনো যানবাহনে যেতে পারেন। শেরপুর জেলা শহর হয়ে যাওয়া যায় সোমনাথপাড়ায়। সেখান থেকে সড়ক পথে ২০ কিলোমিটার দূরে শ্রীবরদী। এখান থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে লাউচাপড়া পিকনিক সেন্টার হয়ে যেতে হবে বালুঝুরি বাজার। সেখান থেকে আরো প্রায় ৩ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড় হলেই সোমনাথপাড়া গ্রাম।এসইউ
Advertisement