দেশজুড়ে

করোনা প্রতিরোধ : মাইকিংয়েই সীমাবদ্ধ খুলনার ‘নিষেধাজ্ঞা’

করোনা ভাইসার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনায় ১৪ দিনের জন্য দোকানপাট, যানবাহন ও চলাচলের ওপর বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। কিন্তু সেই বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই স্বাভাবিক দিনের মতোই চলছে সবকিছু। মানুষের মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়াই নেই। প্রশাসনেরও তেমন নজরদারি পরিলক্ষিত হয়নি। তবে আগেরদিন সন্ধ্যার পর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত।

Advertisement

খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিধি নিষেধ অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচাবাজার, মৌসুমী ফলের দোকান ও ফার্মেসি ব্যতীত অন্যান্য দোকানপাট, শপিংমল ও ফুটপাতের দোকান বন্ধ থাকার কথা থাকলেও ফুটপাতের অনেক দোকান খোলা রয়েছে। বড় বড় দোকানগুলোর সামনে ভিড় করে পণ্য কিনছেন নগরবাসী। কাজ না থাকায় অলি-গলির চায়ের দোকানেও চলছে জমজমাট আড্ডা। যেখানে তরুণদের সংখ্যাই সব চেয়ে বেশি।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মহানগরীর গুরত্বপূর্ণ শিববাড়ি মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, ডাক বাংলার মোড়, শান্তিধাম মোড়, সাত রাস্তা মোড়, ময়লাপোতা, পাওয়ার হাউজ মোড়ে সাধারণ মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। অনেক জায়গায় খুলেছে দোকানও। প্রশাসনেরও তেমন নজরদারি নেই। অনেক স্থানে পুলিশ থাকলেও কোনো কঠোরতা নেই। ইজিবাইক, মহেন্দ্রতে দুই জনের বেশি যাত্রী না তোলার কথা থাকলেও ৪/৫ জনও উঠছে অবলিলায়। এই দুটি পরিবহনের কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে কোথাও কোথাও। মাস্কের ধার ধারছেন না অনেকেই। বলছেন যারা অসুস্থ তারাই পরবে এটা।

অনেকে বলছেন, শহরের মানুষ অপ্রয়োজনে বিনা বাধায় বের হচ্ছেন। বিধি নিষেধ আছে কিনা বোঝাই যাচ্ছে না। খুলনার বিভিন্ন স্থানে মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই জনসমাগমের কারণে করোনা ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে।

Advertisement

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, বিধি নিষেধ যারা মানছেন না তাদের প্রতি প্রশাসনের কঠোর হওয়া প্রয়োজন। খুলনার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখনও যদি নিয়ম না মানে তাহলে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে।

আলমগীর হান্নান/এফএ/এমকেএইচ