খেলাধুলা

করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে ছোট পিচ ও হালকা বল চান তারা

করোনাকালীন ক্রিকেটের জন্য নতুন পাঁচ নিয়মের ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যার মধ্যে অন্যতম বলে লালা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে এখন যথাযথ সুইং পাওয়া নিয়ে চিন্তিত বোলাররা। বিকল্প উপায় খুঁজতে ব্যতিব্যস্ত সবাই।

Advertisement

এরই মাঝে নারী ক্রিকেটের জন্য নতুন দুই পরামর্শ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের নারী দলের অধিনায়ক সোফি ডিভাইন এবং ভারতীয় নারী দলের তারকা ব্যাটসম্যান জেমাইমা রদ্রিগ্রেজ। করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে তাদের চাওয়া ছোট পিচ ও হালকা বলের ব্যবহার।

তবে কিউই অধিনায়ক ডিভাইন পিচ ছোট করার পক্ষে নন। তিনি চান বলের আকার-আকৃতি যেন কমিয়ে আরও হালকা করে দেয়া হয়। এতে করে খেলার আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে ধারণা তার। আইসিসি আয়োজিত ওয়েবিনারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডিভাইন ও জেমাইমা।

ডিভাইন বলেন, ‘পিচের দৈর্ঘ্য ঠিক রেখে বলের ওজন কমানোর পক্ষে আমি। এতে করে বোলাররা আরও জোরে বল করতে পারবে এবং স্পিনাররাও বেশি টার্ন পাবে। এছাড়া ব্যাটসম্যানরা যখন শট খেলবে, অনেক দূরেও যাবে। পিচের দৈর্ঘ্য ঠিক রেখে বলের আকার-আকৃতি পরিবর্তন ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

Advertisement

নিজের মন্তব্যের প্রতি জোর দিয়ে কিউই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘এতে যদি খেলাটা আরও প্রসার পায়, আরও জনপ্রিয় হয়, তাহলে ক্ষতি কী? এমনটা করে দেখা যাক কেমন হয়? আমি মনে করি যেকোন বিষয়েই সেরা ফলের জন্য চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি নেই।’

ভারতীয় তারকা জেমাইমার পরামর্শ পিচের দৈর্ঘ্য ছোট করার। তিনি বলেছেন, ‘এটা স্বীকার করতে হবে যে পুরুষ এবং নারী ক্রিকেটে কিছু পার্থক্য অবশ্যই আছে। তবে আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। খেলাটাকে পরবর্তী ধাপে নেয়ার জন্য নতুন কিছু দেখতে তো ক্ষতি নেই। দিনশেষে এ জিনিসগুলো ক্রিকেটেরই প্রসার ঘটাবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে নারী-পুরুষ উভয় ক্রিকেটেই পিচের দৈর্ঘ্য সমান ২২ গজ। তবে পুরুষ ক্রিকেটে ১৫৫.৯ থেকে ১৬৩ গ্রাম এবং ২২.৪ থেকে ২২.৯ সেন্টিমিটার পরিধির বল ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে নারী ক্রিকেটে ১৪০ থেকে ১৫১ গ্রাম এবং ২১.০ থেকে ২২.৫ সেন্টিমিটার পরিধির বল ব্যবহার করা হয়।

এসএএস/পিআর

Advertisement