সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুষম ডায়েট প্রত্যেকের জন্যই জরুরি। তবে এমনকিছু খাবার রয়েছে যা প্রত্যেক নারীর জন্য বেশি জরুরি। এগুলো শুধু নারীর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীই নয়, পাশাপাশি এগুলো অনেক ধরনের অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক তেমনই পাঁচটি খাবারের কথা-
Advertisement
পালং শাকপালংশাক আপনার কাছে লোভনীয় মনে নাও হতে পারে। তবে পালং শাকের মধ্যে প্রচুর খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে। তাই এটি না খাওয়ার কারণে আপনি অনেক উপকার থেকে বঞ্চিত থেকে যেতে পারেন। পালং শাক ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত, যা পিএমএসের লক্ষণ হ্রাস করে। পালং শাক হাড়ের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হাঁপানির আক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
ফ্লেক্স সিড বা তিসিএতে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা আপনার হার্ট এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য দুর্দান্ত। শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যসহ, প্রতিদিন তিসি বীজ খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। নিরীহ দেখতে এই বীজ আপনার খিটখিটে মেজাজ দূর করে মন ভালো করে দিতে পারে।
ক্র্যানবেরিদেখতে সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। এছাড়াও ক্র্যানবেরি আপনাকে হৃদরোগ এবং দাঁত ক্ষয় থেকে বাঁচায়। এই ফলটি কিছুটা হলেও মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসে ভরপুর এই ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আপনাকে অনেক রকম অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।
Advertisement
টমেটোটমেটো বেশিরভাগ বাড়িতেই খাওয়া হয়।যদিও অনেকে এই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে তেমন জানেন না। এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, টমেটো স্তন ক্যান্সার এবং হৃদরোগের সংক্রমণ হ্রাস করে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।
ওটসওটস হৃদযন্ত্র ভালো রাখার জন্য কাজ করে। এছাড়াও হজমে উন্নতি করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওটস পিএমএসের সাথে যুক্ত মেজাজের পরিবর্তনগুলোকে প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে। ডায়েটরি ফাইবারে ভরা ওটস কোলেস্টেরলও কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি কমাতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও।
এইচএন/এমএস
Advertisement