করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বিশেষজ্ঞরা। জীবন ও জীবিকার সামঞ্জস্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সারাদেশে আক্রান্ত ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে যতটা বড় এলাকায় সম্ভব জরুরিভাবে লকডাউনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছে এই কমিটি। সম্প্রতি জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে কমিটির ৯ম সভায় এটিসহ মোট পাঁচ দফা সুপারিশ করা হয়।
Advertisement
অন্য সুপারিশসগুলো হলো
২. হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপির ব্যবস্থা সব হাসপাতালে দ্রুত চালু ও সম্প্রসারণ করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়কে পুনরায় জানানো হয়।
৩.চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা ব্যাপকহারে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে তাদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ হারে আক্রান্ত হতে থাকলে ও স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রবলভাবে ব্যাহত হবে। আর তাই হাই-ফ্লো অক্সিজেনসহ চিকিৎসার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য আলাদা হাসপাতাল চালু করা অবিলম্বে প্রয়োজন। ৪. কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলো সবসময় পূর্ণ থাকছে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে ইতোমধ্যে সব হাসপাতালে পৃথক স্থান ঠিক করে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীর চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যেসব হাসপাতালে এ সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবায়ন হয়নি সেসব হাসপাতালে কার্যকর করার পাশাপাশি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আরও বাড়ানো দরকার। এজন্য বক্ষব্যাধি হাসপাতাল বা এরকম অন্য যে কোনো উপযুক্ত হাসপাতাল আশু চালু করা দরকার।
Advertisement
৫. সরকার টেস্টের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করতে সফলতা দেখিয়েছে। এখন প্রয়োজন পরীক্ষার মানোন্নয়ন ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যতদিন সময় কমানো সম্ভব না হয়, পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করে সন্দেহজনক রোগীর চিকিৎসা/আইসোলেশন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
এমইউ/জেডএ/পিআর