কিভাবে কি হবে, কিছুই বুঝতে পারছেন না আবু জায়েদ রাহী। বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই পেসার পড়ে গেছেন দ্বিধায়। নিজ জেলা সিলেট যদি 'রেড জোন'-এর আওতায় পড়ে যায়, তবে কিভাবে অনুশীলন করবেন সেই দুশ্চিন্তায় তিনি।
Advertisement
করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এলাকাভেদে ভাইরাস সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোন করে লকডাউন ঘোষণা করার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কদিন আগে মুশফিকুর রহীমসহ আরও কয়েকজন ক্রিকেটার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ জানান, যেন তাদের অনুশীলনের অনুমতি দেয়া হয়। বোর্ড প্রথমে রাজি না হলেও পরে তাদের দাবি মেনে নেয়।
শুধু মিরপুর নয়। ঢাকার বাইরে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট এবং কক্সবাজারেও অনুশীলন চালুর ব্যবস্থা করছে বিসিবি। যাতে করে যে সব ক্রিকেটার নিজ নিজ এলাকায় আছেন, তারাও প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ ভোগ করতে পারেন।
Advertisement
তবে মুশফিকরা নিজে থেকে অনুশীলন করতে চাইলেও নিজ জেলা কক্সবাজারে থাকা জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ঠিক উল্টো অবস্থানে। তিনি এখন কিছুতেই প্র্যাকটিসে নামতে চাইছেন না।
সিলেটে অবস্থান করা আবু জায়েদ রাহীও পড়ে গেছেন দোটানায়। সেখানে সংক্রমণ অনেক বেশি। তাই রেড জোনে পড়তে পারে জেলাটি। জায়েদ তাই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
একটি ইংরেজি দৈনিকের সঙ্গে আলাপে জাতীয় দলের এই পেসার বলেন, ‘আমি শুনেছি বিসিবি ঢাকা, সিলেট এবং অন্যান্য কিছু জায়গায় ব্যক্তিগত ট্রেনিংয়ের সুবিধা খুলে দিচ্ছে। কিন্তু আমি আছি দোটানায়।’
জায়েদ যোগ করেন, ‘সরকার থেকে বারবার বলা হচ্ছে ঘরে থাকতে। এই অবস্থায় আমি কিভাবে অনুশীলনে যোগ দেব? বিসিবি হয়তো প্র্যাকটিস সুবিধা খুলে দিচ্ছে, কিন্তু সরকার যদি শহরে নতুন করে লকডাউন দেয়, তবে আমি কিভাবে যাব?’
Advertisement
এমএমআর/পিআর