করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
Advertisement
মঙ্গলবার (৯ জুন) মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সরকার কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালু করেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কতিপয় গণপরিবহন কর্তৃক স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে মর্মে প্রচার হচ্ছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ শিরোনামকে উদ্ধৃত করে নির্দেশনায় বলা হয়, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যা সরকারি নির্দেশনা ও ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
Advertisement
এমতাবস্থায় যেসব গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ এর সংশ্লিষ্ট ধারা/প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট বাতিল করে বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘করোনাকালীন গণপরিবহনে ভাড়া পুনর্বিন্যাসে চট্টগ্রামসহ কয়েকস্থানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া যারা আদায় করে তারা এই সংকটে গণদুশমন বলে পরিচিত হবে। তারা জনগণের কাছে গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সংকটে তারা সরকারকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষের ওপর অতিরিক্ত ভাড়া চাপাচ্ছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে যারা যারা ভাড়া আদায় করছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। যারা প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োগ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সড়ক পরিবহন আইনানুযায়ী ডাম্পিংসহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছি।’
করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য গত ৩১ মে ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
Advertisement
আরএমএম/এসআর/পিআর