দেশজুড়ে

যশোর বোর্ডে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন

সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফল চ্যালেঞ্জ করেছে ৩৪ হাজার ২৮৪ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এই আবেদনের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৮৫৯টি। বিষয়ভিত্তিক আবেদনের শীর্ষে প্রতিবারের ন্যায় এবারও রয়েছে ইংরেজি ও গণিত। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ৭৮ বা ৭৯ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। ১ বা ২ নম্বর পেলে পরবর্তী গ্রেড অর্থাৎ জিপিএ-৫ পাওয়া যাবে এমন আশায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। চলতি মাসের ৩০ জুন পুনঃনিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

Advertisement

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করার সংখ্যা গত কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে অনেক শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়েছে। খাতা মূল্যায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে আবেদন সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি ফল পরিবর্তনের সংখ্যাও বাড়ছে।

আবেদন করা অভিভাবক ও পরীক্ষাথীদের ধারণা- পুনঃনিরীক্ষণে এক বা দুই নম্বর বাড়লেই ফেল থেকে পাস কিংবা পরবর্তী গ্রেড পাবে। আবার অনেকে জিপিএ-৫ বা সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ পাবে।

Advertisement

তবে বোর্ড কর্মকর্তাদের দাবি- সকল বিষয়ে নম্বর দেখার সুযোগ করে দেয়ার কারণেই আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে ইংরেজি প্রথমপত্রে ৩ হাজার ৬৯৬ জন, ২য় পত্রে ৩ হাজার ৬৯৬ জন, বাংলা প্রথম পত্রে ১ হাজার ৭৫১ জন, ২য় পত্রে ১ হাজার ৭৫১ জন, গণিতে ৩ হাজার ২৪১ জন, ভূগোল ও পরিবেশে ১ হাজার ১৫৮ জন, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষায় ১ হাজার ১৩ জন, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ১২৪ জন, খ্রিস্টান ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ৯ জন, উচ্চতর গণিতে ২ হাজার ১৬০ জন, বিজ্ঞানে ২ হাজার ৬২ জন, কৃষি শিক্ষায় ১ হাজার ২১০ জন, পদার্থ বিজ্ঞানে ১ হাজার ৭৮৯ জন, রসায়নে ২ হাজার ৪ ৯০ জন, জীববিজ্ঞানে ১ হাজার ৩৪১ জন, নাগরিক ও নাগরিকত্বে ১১৩ জন, অর্থনীতিতে ৩৭০ জন, ব্যবসায় উদ্যোগে ২০৯ জন, হিসাববিজ্ঞানে ৪৮৭ জন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতিতে ২ হাজর ৭৫৯ জন, হোম বিজ্ঞানে ৩৩ জন, ব্যাংকিং ও বীমাতে ৩৮৮ জন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব নাগরিকতত্ব ৮১৯ জন, এবং তথ্য প্রযুক্তিতে ১ হাজার ৬১৫ জন ফল পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে।

এ বিষয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, পুনঃনিরীক্ষণে সাধারণত মোট ৪টি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেয়া হয়েছে কি-না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি-না, প্রাপ্ত নম্বর ও এমআর। এসব বিষয় পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেয়া হয়। তার মানে কোনো শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন হয় না।

পুনঃনিরীক্ষায় কোনো পরীক্ষকের এসএসসির খাতা দেখায় ভুল হলে রেজাল্ট প্রকাশের পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

Advertisement

মিলন রহমান/আরএআর/পিআর