জাতীয়

ক‌রোনায় মৃতের ৮৬ শতাংশই ঢাকা-চট্টগ্রামের

দেশে উদ্বেগজনক হারে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও এ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। এরপর থেকে মঙ্গলবার (৯ জুন) পর্যন্ত সর্বমোট ৯৭৫ জনের মৃত্যু হয়। এ সময়ের মধ্যে ৯ জুন একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ডসংখ্যক ৩ হাজার ১৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জনে। এদিন রেকর্ড হয়েছে মৃত্যুতেও, সর্বোচ্চ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, এর ৮৬ শতাংশই ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের। তাদের কেউ হাসপাতালে, কেউ বাসায় আবার কেউবা হাসপাতালে আসার পথে মারা যান।

সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকা ও ঢাকা বিভাগের আওতাধীন কয়েকটি জেলা যেমন- নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী এবং চট্টগ্রাম বিভাগ করোনা সংক্রমণের শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকায় ছিল। এসব এলাকা থেকেই পরবর্তীতে বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ৯ জুন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ৯৭৫ জন রোগীর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ২৯৫ জন এবং রাজধানী ব্যতীত ঢাকা বিভাগে ২৮১ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ২৫৮ জন। অর্থাৎ এই দুই বিভাগেই মৃতের সংখ্যা ৮৩৪ জন, যা মোট মৃতের প্রায় ৮৬ শতাংশ।

Advertisement

এর বাইরে ময়মনসিংহ বিভাগে ২০, রাজশাহী বিভাগে ২০, রংপুর বিভাগে ২৬, খুলনা বিভাগের ১৬, বরিশাল বিভাগে ২২ এবং সিলেট বিভাগে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়।

দেশব্যাপী চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনুপাতে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে লকডাউন এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছে সরকার।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। শুরুর দিকে শুধু আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হলেও পরবর্তীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ল্যাবরেটরি সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে ৫৬ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।

এ সব ল্যাবরেটরিতে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মোট চার লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা সর্বমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জনে। এদিকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৫ হাজার ৩৩৬ জন।

Advertisement

এমইউ/এফআর/এমএস