জাতীয়

করোনা রোধে ঢাকার ওয়ার্ডগুলোকে কয়েকটি সাব-জোনে ভাগ করা হবে

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোকে কয়েকটি সাব-জোনে ভাগ করে নিবিড়ভাবে কাজ করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

Advertisement

মঙ্গলবার (৯ জুন) এক ভিডিও বার্তায় মন্ত্রী এ কথা জানান। করোনা সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে সেখানে নানা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। রেড জোন লকডাউন করে দেয়া হবে। পদক্ষেপ থাকবে ইয়েলো ও গ্রিন জোনেও। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম থেকে সরকার কাজ করছে। সময়ে সময়ে পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ ভিন্নতর হলেও করোনা পরিস্থিতিতে যাতে মানুষের আর্থ-সামাজিক এবং জীবনমানের উন্নতি হয় বা টিকিয়ে রাখা যায় সেই চেষ্টা করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন প্রত্যাহার করা হলেও যাতে এটা ব্যাপকভাবে যেন বিস্তার না করে সেজন্য বিভিন্ন এলাকাকে চিহ্নিত করে, যেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেই এলাকাগুলোকে কনটেন্ট করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

Advertisement

‘আর যে সব এলাকা এখনও করোনামুক্ত আছে সেই সব এলাকাগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্য হলো যাতে সেখানে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘এগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী যেমন নির্দেশ দিয়েছেন, তেমনিভাবে আমাদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ সারা বাংলাদেশে কাজ করছে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে কয়েকটি সাব-জোনে ভাগ করে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের পুলিশ বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও নিবিড়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই কাজে অংশগ্রহণে স্বেচ্ছায় সম্মতি দিয়েছেন। আমরা আরম্ভ করে চেষ্টা করব, যাতে এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের একটা স্বস্তিকর অবস্থা সম্ভাব্য যতটুকু করা যায় তা করা হবে।’

Advertisement

আরএমএম/এফআর/জেআইএম