করোনা সংক্রমণ রোধে ঘোষিত ছুটির ফলে ৯৫ শতাংশ মানুষ উপার্জনের দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৫১ শতাংশের কোনো আয় নেই। ৬২ শতাংশ চাকরি বা উপার্জনের সুযোগ হারিয়েছেন। কর্মকাণ্ডের দিক থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন ২৮ শতাংশ ব্যক্তি। সাধারণ ছুটি হওয়ার আগে যেখানে থানাভিত্তিক মাসিক আয় ছিল ২৪ হাজার ৫৬৫ টাকা সেখানে মে মাসে আয় কমে দাঁড়ায় সাত হাজার ৯৬ টাকায়। শহর এলাকায় কমার হার পল্লী অঞ্চলের তুলনায় কিছুটা বেশি।
Advertisement
করোনা মোকাবিলার প্রেক্ষিতে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পেতে সম্প্রতি ব্র্যাক পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে আসে।
গত ৯-১৩ মে দেশের ৬৪ জেলায় পরিচালিত আর্থসামাজিক অবস্থা তুলে ধরতে দুই হাজার ৩১৭ জন জরিপে অংশ নেন। এরমধ্যে ৬৮ শতাংশ গ্রামাঞ্চল এবং ৩২ শতাংশ নগর এলাকার বাসিন্দা।
জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নির্ভরশীল মানুষ ধীরে ধীরে জীবিকা নির্বাহের পথে ফিরে আসছেন কিন্তু এসব পরিবারের অনেকের জন্য অন্তত আগামী তিন মাসের জন্য ধারাবাহিক খাদ্য বা আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৯ জুন) সকালে ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে এ জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। এসময় প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক বিভাগের প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, পরিচালক শামেরান আবেদ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান।ব্র্যাকের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং পরিচালনা করেন কে এ এম মোরশেদ।
এমইউ/এএইচ/জেআইএম