জাতীয়

আনসার বাহিনীতে করোনায় সুস্থতার হার বাড়ছে

 

করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবিলা এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের সহায়তায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। এতে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এ বাহিনীর অনেকেই।

Advertisement

মঙ্গলবার (৯ জুন) পর্যন্ত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২১ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাদের অনেকেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। এ পর্যন্ত বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৪৪ জন সদস্য সুস্থ হয়েছেন। বিকেলে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন বলেন, বাহিনীর কর্মকর্তাসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৭ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯৮ জন সদস্য বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিভিন্ন থানা, ক্যাম্প, হোটেল কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭৭ জন সদস্য। বাহিনীর আক্রান্ত সদস্যরা সুস্থ হয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করে দেশ ও মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।

মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদের নিদের্শে বাহিনীর আক্রান্ত সদস্যদের জন্য একটি চিকিৎসা প্রটোকল তৈরি করা হয়েছে। মহাপরিচালকের দিকনির্দেশনা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসরণ করছেন এ বাহিনীর সদস্যরা।

Advertisement

এ ব্যাপারে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ বলেন, আমরা সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত এবং নানা ধরনের বাস্তবমুুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি বলে এ সফলতা অর্জিত হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্ত সদস্যদের চিকিৎসা কার্যক্রম মনিটরিং করছেন বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, এ বাহিনীর ইউনিট বা ক্যাম্পে কোনো সদস্যের করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের থেকে আইসোলেট করে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে আক্রান্ত সদস্যের সংস্পর্শে আসা সবাইকে করোনা পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষায় যাদের করোনা পজিটিভ আজে তাদেরকে সেখান থেকে দ্রুত সরিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্য সদস্যদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন ভবন, হোটেল ও স্কুল ইত্যাদি স্থানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। শুধু শতভাগ সুস্থ সদস্যদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ব্যারাকে রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত বাহিনীর দুজন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গত ১১ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাহিনীর আব্দুল মজিদ নামে একজন সদস্য মৃত্যুবরণ করেন। আব্দুল মজিদ পিসি অঙ্গীভূত আনসার, তার বাড়িও বগুড়ায়। মৃত্যুর আগে তিনি গুলশান বিভাগের ভাটারা থানায় দায়িত্বরত ছিলেন।

Advertisement

করোনায় আব্দুস সোবহান নামে আরও এক আনসার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৮ জুন) দুপুরে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আব্দুস সোবাহানের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার উত্তর কালাইহাট গ্রামে। তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ছিলেন।

জেইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ