করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে সিলেটের সব মার্কেটের দোকানদারদের এপ্রিল ও মে মাসের ভাড়া অর্ধেক মওকুফ করা হয়েছে।
Advertisement
সে হিসেবে এক মাসের ভাড়া মওকুফ করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে সিলেটের বিভিন্ন শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারীদের সংগঠন সিলেট শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ওনার্স গ্রুপ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রুপের কার্যকরী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও মঙ্গলবার (০৯ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে সিলেট তথা সারা দেশের সব মার্কেটসহ ও সব প্রকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এপ্রিল ও মে দুই মাস বন্ধ থাকায় মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজন্য মার্কেটের দোকানদারদের মানবিক সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ওনার্স গ্রুপের অস্থায়ী কার্যালয় সিলেট সিটি সেন্টারের সাততলায় গ্রুপের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা শাহরিয়ার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শহিদ আহমদ চৌধুরী সাজুর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি জিএম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আব্দুল হাই, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আহমদ, সহ-সভাপতি জাকারিয়া ইফতেখার শামীম, সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান মাসুম, কোষাধ্যক্ষ নেছার রহিম নাদিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাকির আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান।
সিলেট শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ওনার্স গ্রুপের নেতৃবৃন্দ সিলেটের সব মার্কেট মালিক ও দোকান মালিকদের বর্তমান দুর্যোগের কথা চিন্তা করে ও মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের দুই মাসের ভাড়ার অর্ধেক পরিশোধের অনুরোধ জানান।
সভায় সিলেট শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ওনার্স গ্রুপের নেতৃবৃন্দ বর্তমান দুর্যোগ ও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট মালিক ও দোকান মালিকদের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে, ২০২০ সালের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে অনুরোধ জানান।
Advertisement
এছাড়া চলতি অর্থবছরের ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফসহ বন্ধকালীন বিদ্যুৎ বিলসমূহের ওপর ধার্যকৃত সুদ মওকুফ করে কিস্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ব্যবসায়ী ও মার্কেট মালিক সংগঠনের নেতারা।
ছামির মাহমুদ/এএম/জেআইএম