ঢাকা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হাইকোর্টের ভার্চুয়াল শুনানিতেও জামিন হয়নি ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার ভিপি (ভাইস প্রেসিডেন্ট) ও ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলামের। তবে, তার জামিন শুনানির জন্য নিয়মিত কোর্ট খোলার পর আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত মূলতবি রাখা হয়েছে। এর আগে ভুয়া বিলের মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলাটি করেছিল।
Advertisement
আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী শামসুন নাহার কনা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরিফ আহমেদ।
Advertisement
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আসামিরা একে অন্যের যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে ভুয়া রফতানি দেখিয়ে ২৬টি রফতানি বিল ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় জমা দেন। পরে তারা ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ৩টি বিলের মূল্য ও চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ মোট ৫ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেন এবং অবশিষ্ট ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ব্যাংকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসন সাতজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলা করেন। মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্তাধীন।
উল্লিখিত আসামি ছাড়াও মামলার অন্য ছয় আসামি হলেন— সাইমেক্স লেদার প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব টি এস আইয়ুব, তার স্ত্রী পরিচালক তানিয়া রহমান ঢাকা ব্যাংকের এভিপি (অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট) ও সিপিসি সুলতানা ফাহমিদা, মেসার্স এস অ্যান্ড এস এজেন্সির মালিক বিভূতি ভূষণ বালা, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টু এবং মেসার্স সাদাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম।
এফএইচ/জেডএ/এমকেএইচ
Advertisement