দেশজুড়ে

জঙ্গলে নিয়ে গৃহবধূ দুলালীকে হত্যার রহস্য উন্মোচন

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্জন জঙ্গলে গৃহবধূ দুলালীকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়ার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

প্রেস ব্রিফিংয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামাল হোসেন সদর উপজেলার নারগুনের ফেরসাডাঙ্গী জঙ্গলে গৃহবধূ দুলালীকে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দেয়ার ঘটনা তুলে ধরে জানান, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুলালী রাগ করে বাবার বাড়িতে গিয়ে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি সদর উপজেলার বড়গাঁও এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে মহব্বতের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গত ২৮ মে মহব্বত মোটরসাইকেল যোগে দুলালীকে নারগুন এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে যান। এ সময় দুলালী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মহব্বত দুলালীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখেন। পরে ১ জুন দুলালীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় দুলালী হত্যায় জড়িত মহব্বতকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ।

Advertisement

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মহব্বত ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। জবানবন্দীতে মহব্বত জানান, তিনি বিবাহিত। বিয়ের জন্য দুলালী তাকে চাপ দিলে তিনি তাকে হত্যা করে মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে মাটিতে পুঁতে রাখেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামাল হোসেন ছাড়াও বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু তাহের মো. আব্দুল্লাহ, সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) গোলাম মোর্তুজা এবং ওসি (অপারেশন) নাজমুল হক।

এছাড়াও প্রেস ব্রিফিংয়ে গত তিনদিন আগে ঠাকুরগাঁওয়ে উদ্ধার হওয়া শিশু শুভকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুভ নরসিংদী থেকে ট্রেনযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে চলে আসে। তিনদিন ধরে সে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলামের কাছে ছিল।

আরএআর/পিআর

Advertisement