ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত (কোভিড-১৯) রোগীদের জন্য স্থাপিত ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। করোনা সংক্রমিত হয়ে বা এর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হচ্ছে রোগীদের। গতকাল রোববার ও আজ সোমবার মিলিয়ে দুদিনে ঢামেকের করোনা ইউনিটে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। আজ নিয়ে সাতদিনে মৃত্যু হয়েছে ১১৩ জনের। এদের ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ঢামেক হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
গত ২ মে রাজধানীর কেন্দ্রে প্রধান এ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চালু হয় করোনা ইউনিট। পরে হাসপাতালের নতুন ভবনে (হাসপাতাল-২) তা বর্ধিত করা হয় ১৬ মে থেকে। সূত্র বলছে, এই ইউনিটে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক রোগী ভর্তি হচ্ছেন, তাদের অনেকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, অনেকে উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসছেন।
সূত্রের তথ্য মতে, করোনা ইউনিটে গত সাত দিনে ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত দু’দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এই ১১৩ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিল ২০ জনের। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মৃতদের অনেকের মরদেহ পরিবার ও স্বজনরা নিয়ে গেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এমন ব্যক্তিদেরও করোনা পরীক্ষা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে অনেকের শরীরে করোনার সংক্রমণ পজিটিভ ধরা পড়েছে। অনেকের নেগেটিভ এসেছে। আবার অনেকের নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট এখনো আসেনি।
Advertisement
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ জাগো নিউজকে জানান, করোনা রোগীদের জন্য সর্বপ্রথম ইউনিট চালু করা হয়েছিল ঢামেকের বার্ন ইউনিটে। সেখানে পজিটিভ ও উপসর্গ আছে এমন রোগীদের আলাদা আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বার্ন ইউনিটে ২৫০টি শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। পরে ১৬ মে হাসপাতালের নতুন ভবনে করোনা ইউনিট-২ উদ্বোধন করা হয়। সেখানে ৫০০ রোগীর শয্যা তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ঢামেকে ৭৫০ জন করোনা রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এ ইউনিট দুটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে।
এইচএ/পিআর