ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে গত কয়েকদিনে এক ডজন মামলা করেছে পুলিশ। সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও কেরানীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত এসব মামলায় শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৬ পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (০৮ জুন) দুপুরে সাভার মডেল থানা চত্বরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার।
লাইনম্যান, সুপারভাইজার, ফেডারেশন বা অন্য কোনো নামে মহাসড়কে বাস থামিয়ে চাঁদাবাজরা যাতে টাকা তুলতে না পারে সেজন্য মালিকপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। একই সঙ্গে বাস থামিয়ে চাঁদাবাজি করলে তাদের গ্রেফতারের কথা জানান পুলিশ সুপার।
এজন্য স্ব-স্ব পরিবহনের স্টাফদের নিজস্ব পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। আর পরিবহন মালিকরা যদি চাঁদাবাজদের কোনো প্রকার প্রশ্রয় দেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
পুলিশ সুপার বলেন, পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। ঢাকা জেলার ধামরাই, সাভার, আশুলিয়া ও কেরানীগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ১২টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আল-মামুন/এএম/এমএস