করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ হয়েছে। এ জন্য তাকে অক্সিজেন ও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা টানা চার দিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে।
Advertisement
সোমবার (৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ। তিনি আরও জানান, দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসকরা ডা. জাফরুল্লাহকে দেখে আসার পর তাদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মো. ফরহাদ বলেন, ‘চিকিৎসকরা রাউন্ড দিয়ে এসে আমাদের জানিয়েছেন, ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তার ফুসফুসে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ হয়েছে। এ জন্য অক্সিজেন ও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। এই অ্যান্টিবায়োটিক ও অক্সিজেন বেশ কয়েক দিন ধরেই চলছে।’
ডা. জাফরুল্লাহর চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি জানান, তিনি নিজ থেকে খাবার খেতে পারছেন। রক্তচাপ ও অন্যান্য ক্লিনিক্যাল অবস্থা স্থিতিশীল।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাতে ডা. জাফরুল্লাহর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। ওই রাতে তাকে অক্সিজেন ও লেবুনাইজার দিয়ে রাখা হয়। তার পর দিন শুক্রবার (৫ জুন) সকালের দিকে তিনি কিছুটা ভালোবোধ করেন, তখন তার শ্বাসকষ্ট কম হচ্ছিল। এরপর দুপুর ১টার দিকে তার শ্বাসকষ্ট আবার বেড়ে যায়। তখন তাকে আবারও অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তার শ্বাসকষ্ট আবার কমে। তবে তীব্র না থাকলেও শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা ওই রকমই রয়েছে। অন্যদিকে আগের সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস করা হলেও এখন প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে।
গত ২৫ মে জানা যায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হলে তার করোনা পজিটিভ আসে।
পিডি/এফআর/এমএস
Advertisement