বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে ওই রোগীর মৃত্যু হয়।
Advertisement
এছাড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সরকারি দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সোমবার সকালে মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বাসিন্দা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম নুরুজ্জামান আইসোলেশনে একজন করোনা রোগীর মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতাল চত্বরে সীমিত মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে ওই ব্যক্তির লাশ উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, কোভিট-১৯ এর উপসর্গ দেখা দেয়ায় ওই ব্যক্তি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে নমুনা দেওয়ার পর বাড়িতেই আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) ছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর ২৩ মে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোববার রাতে করোনার উপসর্গে মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ধুনট উপজেলার বাসিন্দা।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই রোগী ৫ জুন হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। শ্বাসকষ্টসহ উপসর্গ থাকায় করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। তবে পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার আগেই রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার পর্যন্ত জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের আইসোলেশনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দু’জন মুক্তিযোদ্ধা, একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, একজন কলেজ শিক্ষক, এক নারীসহ আটজনের মৃত্যু হলো। করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। এ পর্যন্ত জেলায় ৭৯০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
Advertisement
এ হিসাবের বাইরে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মুগদা হাসপাতালে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন সোনাতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজবুল হক, পুলিশের এসআই মজিবুর রহমান খান, চিকিৎসক হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক মোজাম্মেল হক তালুকদার ও সোনাতলার একজন আনসার কর্মকর্তা।
এফএ/এমকেএইচ