দেশের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউয়ের কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা আছে কি-না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে করোনা রোগীদের জন্য কয়টা আইসিইউ ও বেড রয়েছে তা আগামী বুধবারের (১০ জুন) মধ্যে জানাতে বলেছেন।
Advertisement
এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (৮ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
তিনি জানান, শুনানিতে করোনা উপসর্গের রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
সারাদেশে আইসিইউ বেডের সংখ্যা কত, সেগুলো কীভাবে বণ্টন হয় সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের বেড মনিটরিংয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটিও রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) এই সময়ে দেশের সব বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ সরকারিভাবে অধিগ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে রোববার রিট দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় অনলাইনে সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো চালুরও নির্দেশান চাওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান রিটটি দায়ের করেন।
Advertisement
‘সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো’র ধারণাটি ব্যাখ্যা করে এই আইনজীবী বলেন, সারাদেশে কোন হাসপাতালে কয়টি বেড খালি আছে, কোথায় খালি নেই- তার সব তথ্য এক জায়গায় থাকবে। এ ব্যবস্থা চালু থাকলে রোগী ভর্তির আগেই স্বজনরা জানতে পারবেন, কোথায় বেড খালি আছে। এতে করে রোগী নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে না। রিটে স্বাস্থ্য সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচিব এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এফএইচ/বিএ/জেআইএম