সাহিত্য

কবি জীবনানন্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শান্তির অন্বেষণে হাজার বছর ধরে পথ হাঁটা কবি জীবনানন্দ দাশের ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। পৃথিবীর নিষ্ঠুর মায়া ত্যাগের পূর্বাভাস যেন তাঁরই কবিতায়। কবি বলেছেন, ‘মনে হয় একদিন আকাশে শুকতারা দেখিব না আর; দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন নিভে যায়।’ কবির এ আশঙ্কা সত্যে পরিণত হয় ১৯৫৪ সালে। ১৪ অক্টোবর তিনি ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হন। তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এরই মধ্যে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। অবশেষে ২২ অক্টোবর রাতে জীবনানন্দের জীবনাবসান ঘটে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি জীবনানন্দ দাশের আজীবন স্মৃতি বিজড়িত অতিপ্রিয় ‘ধানসিঁড়ি নদী’। ধানসিঁড়িকে কেন্দ্র করেই তিনি লিখেছেন ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি।কবি জীবনানন্দ দাশ ধানসিঁড়ির তীরে হয়তো আর আসবেন না, কিন্তু তার স্মৃতি আজো ধানসিঁড়ির আকাশে-বাতাসে মিশে আছে। ১৯৮৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলা শহরে জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহণ করেন। ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে? কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে’ কবিতার কবি কুসুমকুমারী দাশের সন্তান জীবনানন্দ দাশ। বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের বেখেয়ালী জীবন কেটেছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে। তিনি ছেলেবেলা থেকেই মায়ের প্রভাবে কবিতা লিখতে শুরু করেন। ১৯১৯ সালে ‘বর্ষা আহ্বান’ কবিতাটি ব্রহ্মবাদী পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । তখন তিনি শ্রী জীবনানন্দ দাশগুপ্ত নামে লিখতেন। ১৯২৭ সাল থেকে জীবনানন্দ দাশ নামে লিখতে শুরু করেন। ঝরা পালক, রূপসী বাংলা, ধুসর পাণ্ডুলিপি, মহাপৃথিবী, বনলতা সেন, সাতটি তারার তিমির জীবনানন্দের উল্লেখযোগ্য কাব্যসমগ্র। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ধাপে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন। তিনি প্রধানত কবি হলেও তার বেশকিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধও প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৫৪ সালে অকালমৃত্যুর আগে তিনি নিভৃতে ১৪টি উপন্যাস এবং ১০৮টি ছোটগল্প লিখেছেন।এসইউ/পিআর

Advertisement