প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী ৭০ লাখ ৭৯ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চীনে। এরপর বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।
Advertisement
করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসাব দিয়ে আসা ওয়ার্ল্ডওমিটারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, রোববার (৭ জুন) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ৪ হাজার ৯৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯১ জন।
চীন থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু। এরপর ইউরোপে তাণ্ডব চালায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। তবে এখন ভাইরাসটির সংক্রমণের কেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকা। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
করোনাভাইরাসের আক্রমণে সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ৭ হাজার ৫৮। বিশাল সংখ্যক এই আক্রান্ত মানুষের মধ্যে দেশটিতে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৬৬ জনে মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই কোনো দেশ।
Advertisement
এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৭ হাজার ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
করোনায় শনাক্ত মানুষের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে এখন মোট আক্রান্ত প্রায় ৭ লাখ। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৩৬ হাজার।
এদিকে করোনা রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৬৭৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮৫৯ জনের।
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গত ২০ মার্চ প্রথম মৃত্যুর পর প্রথমবারের মতো গত ২৪ ঘণ্টায় স্কটল্যান্ডে ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে কারও প্রাণহানি হয়নি। একইসঙ্গে যুক্তরাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। দেশটিতে মোট ২৮ লাখ ৬ হাজার ১৯৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০ হাজার ৫৪২ জনে।
Advertisement
করোনার এখনও কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তবে বিশ্বের অনেক দেশ মহামারি ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ১২৫টিরও বেশি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলেছে। এর মধ্যে দশটি মানবদেহে প্রয়োগ হয়েছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সবচেয়ে এগিয়ে আছে।
এমএসএইচ