প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা টানা তিন দিন ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। শ্বাসকষ্ট থাকায় টানা তিন দিন ধরে তাকে সবসময় অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া এই তিন দিনই তার ডায়ালাইসিস করা হয়েছে।
Advertisement
রোববার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ।
তিনি বলেন, ‘স্যারের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল। তিনি এখনও অক্সিজেনে আছেন। এখনও তার শ্বাসকষ্ট পুরোপুরি কমেনি। আজকেও তার ডায়ালাইসিস করা হয়েছে। পরপর তিনদিন ডায়ালাইসিস করা হলো। বিশেষ ব্যবস্থায় এই ডায়ালাইসিস করা হয়েছে।’
সর্বশেষ গত ৫ জুন (শুক্রবার) দুপুরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পরই শ্বাসকষ্ট কিছুটা কমে। তখন থেকে তাকে সবসময় অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।
Advertisement
গত ২৫ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ২৬ মে তিনি প্লাজমা থেরাপি নেন। এরপর ২৫ মে রাতে তিনি দ্বিতীয়বার এবং ৬ জুন তৃতীয়বারের মতো প্লাজমা থেরাপি নেন। শুক্রবার থেকে তার শ্বাসকষ্ট বাড়ে। ওইদিন দুপুর থেকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে ডা. জাফরুল্লাহকে।
এদিকে, ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক বিষয়ে শনিবার (৬ জুন) রাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও উনি এখনও পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন। ওনাকে গতকাল রাতে ডায়ালাইসিস দেয়া হয়েছে এবং প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে। আজ আবারও ডায়ালাইসিস দেয়া হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন থেরাপি লাগছে। আগে সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস লাগলেও পরিস্থিতির সাপেক্ষে ওনার চিকিৎসক প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
তাতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমানে ওনার নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি, অধ্যাপক ডা. নজীবের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা বিশ্বাস করি, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার বাকি স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আপনাদের সবার দোয়া চেয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ।’
পিডি/এফআর/এমকেএইচ
Advertisement