সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় মুখ ডা. ফেরদৌস খন্দকার। করোনা মহামারির পর তার পরিচিতিও বেড়ে যায় দ্রুতগতিতে। বিভিন্ন সময় তিনি সুপার হিরো উপাধিও পান। সবশেষ তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন এই করোনাকালে বাংলাদেশে ফেরার ঘোষণা দিয়ে।
Advertisement
নিউইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, 'দুনিয়াতে মায়ের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা বা সুযোগ সবার আসে না। আমি সেই ভাগ্যবান মানুষদের একজন হতে চেয়েছি, যারা দেশ মাকে ভালোবেসে, দেশকে ভালোবেসে বোঝাতে চেয়েছি, ভালোবাসা অমূল্য। বড্ড ভালোবাসি মা তোমায়। আর তাই তো এই সামগ্রীগুলো দেশের সম্মুখসারীর যোদ্ধাদের জন্য বড় যত্ন করে নিয়ে যাচ্ছি সাথে করে। আলো আসবেই। আমি আসছি। দেখা হবে বাংলাদেশ।'
ডা. ফেরদৌসের বাংলাদেশে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে তাকে নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কিছু গণমাধ্যমে তার এমন পরিচয় উঠে আসছে যা তার সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচয়ের সাথে যায় না। যেমন- কোথাও বলা হচ্ছে তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের ভাতিজা।
ডা. ফেরদৌস খন্দকার পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রদল করতেন বলেও শোনা যাচ্ছে। পরে বিএনপির সক্রিয় সমর্থক ছিলেন তিনি। এরপর আওয়ামী লীগে ভেড়ার চেষ্টা করে সফল হন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদ পান। তবে এ জন্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে পদ পেলেও এক মাস পরে সেখানকার তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপে ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
Advertisement
এছাড়া ফেসবুকে একটি পোস্টে ডা. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও দেখা গেছে। তবে তার সতত্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এনএফ/এমকেএইচ