রংপুরের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে আরও ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। রোববার (৭ জুন) দুপুরে করোনামুক্ত হওয়ায় ওই ১১ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। গত ১৯ এপ্রিল হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেন। এছাড়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫ জন।
Advertisement
বর্তমানে ২১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে রংপুর সদরের ১৯ জন এবং গঙ্গাচড়া ও বগুড়ার একজন করে রয়েছেন। রোববার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এসএম নূরুন নবী।
রোববারে নতুন ছাড়পত্র প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, আনসার সদস্য কামরুজ্জামান (৩৯) ও জাহিদুল ইসলাম (৩৬), র্যাব সদস্য আমজাদ (৩১), সফিকুল (৩৮), সঞ্জিরণ বালা (৩৮) ও গোলজার হোসেন (৪০), পুলিশ সদস্য মিলন মিয়া (২৭), পোশাক শ্রমিক হুমায়ুন কবির (৫০), শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম (৩৫) এবং রংপুর শহরের বাসিন্দা পিয়ারী বেগম (৫৫) ও বেগম লুৎফুন্নেছা (৬৫)।
এসএম নূরুন নবী আরও জানান, কামরুজ্জামান ও জাহিদুল গত ১৫ মে, লুৎফুন্নেছা ১৮ মে, পিয়ারী বেগম ২০মে, আমজাদ, সফিকুল, সঞ্জীরণ বালা, গোলজার ও মিলন মিয়া ২১ মে এবং হুমায়ুন ও সিরাজুল ইসলাম ২২মে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
Advertisement
এই ১১ জন ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ না থাকায় এবং পর পর দুইবার নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ায় রোববার তাদের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে।
বিদায় নেয়ার সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ চিকিৎসকরা তাদেরকে ফুল ও চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ নিয়ে মোট ৮৯ জন এই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। বর্তমানে হাসপাতালে ২১ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে এসএম নূরুন নবী বলেন, হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যে ৫ জন মারা গেছেন তাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব। করোনাভাইরাস ছাড়াও তারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিজনিত ও বহুমূত্রসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আগে থেকেই ভুগছিলেন। এসব কারণে এমন ব্যক্তিদের করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। তাই সকলকে সচেতন থেকে বাড়িতে অবস্থানরত বয়োবৃদ্ধদের প্রতি মানবিক ও আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
জিতু কবীর/এফএ/এমএস
Advertisement