দেশজুড়ে

করোনায় প্রাণ হারালেন কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক মোনায়েম খান

করোনায় এবার প্রাণ হারালেন কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল মোনায়েম খান। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৭ জুন) বিকেল ৩টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতালে সঙ্গে থাকা তার স্ত্রীর ভাই জয়নাল আবেদীন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Advertisement

সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল মোনায়েম খান (৫৪) কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়া কবরস্থান রোডের মরহুম কানুনগো বদিউল আলমের ছেলে।

তিনি ডেইলি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এর আগে তিনি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার, নিউএজ, ডেইলি সান পত্রিকায় কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক কক্সবাজার, আজকের দেশ-বিদেশ, দৈনিক বাঁকখালী, দৈনিক দৈনন্দিনসহ একাধিক পত্রিকায় নানা পদে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য। তার পারিবারিক সূত্র জানায়, সাংবাদিক আবদুল মোনায়েম খান মে মাসের মাঝামাঝি থেকে প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিলেন। সঙ্গে তার ছেলে কক্সবাজার সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মোহাইমেনও অসুস্থ হওয়ায় ৩০ মে বাবা-ছেলের নমুনা টেস্ট করা হয়। গত ৩১ মে আবদুল মোনায়েম খান ও সন্তান মোহাইমেনের করোনা ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট আসে। ১ জুন রাতে আবদুল মোনায়েম খানকে উখিয়া এনজিও পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ৩ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার রাতে মোনায়েম খানের অবস্থা সংকটাপন্ন হতে শুরু করে।

তারা আরও জানান, চমেকের করোনা ওয়ার্ডের রেড জোনে চিকিৎসাধীন মোনায়েম খানের অবস্থার অবনতি হয় রোববার ভোর থেকে। খবর জেনে কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আজম নাছিরের সহায়তায় একই হাসপাতালে তার জন্য আইসিইউ’র ব্যবস্থা করে দুপুর ২টার পর তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। কিন্তু আইসিইউতে নেয়ার পরপরই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আবদুল মোনায়েম খান।

Advertisement

তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন হাউসে একসঙ্গে কাজ করা সহকর্মীরা নিজেদের অনুভূতি শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস