বিশেষ প্রতিবেদন

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা, সংক্রামক আইন প্রয়োগ জরুরি

মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ৬৬ দিন পর গত ৩১ মে সবকিছু সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণরোধে রয়েছে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি। এই বিধি বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানও নিয়েছে সরকার। সরকারের এই বিধি ভঙ্গ করে কেউ যদি বাইরে বের হয় তাহলে সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন, বলেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ৩০ মে রাতে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি হয়।

Advertisement

সারাদেশে করোনাভাইরাসের তথ্য গোপন করে অবাধে ঘুরে বেড়ানোর খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে পালিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। লকডাউন, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন ও সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।

এছাড়া করোনার লক্ষণ থাকলেও তা গোপন করে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ প্রতিবেশীর কাছেও করোনার লক্ষণ গোপন করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। লকডাউনের মধ্যেও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পালিয়ে চলে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। ফলে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও।

এ অবস্থায় ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮’-এর কঠোর প্রয়োগ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মূলত যেকোনো সংক্রামক রোগের বিস্তাররোধে মানুষ যেন নিজে বাঁচার পাশাপাশি অন্যকে সংক্রমিত না করতে পারে সে লক্ষ্যে আইনটি করা হয়। জনস্বাস্থ্য-সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবিলা ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে দেশে এটি একটি উপযুক্ত আইন। এই আইন অমান্য করলে শাস্তির বিধানও অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সমস্যা হলো আইনটি সম্পর্কে জানে না অনেকেই। মানার বিষয়েও তাদের কোনো আগ্রহ নেই।

Advertisement

এদিকে সংক্রামক রোগ গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও কাউকে এই আইনের আওতায় এনে সাজা দেয়ার নজির নেই। ফলে দিনদিন বাড়ছে এই আইন অমান্যকারীর সংখ্যাও। আবার সঠিক প্রচারণার অভাবে অনেকেরই ধারণা নেই সংক্রমক ব্যাধি আইন সম্পর্কেও। ফলে কাগজেই সীমাবদ্ধ রয়েছে আইনটি।

আইনজ্ঞরা বলছেন, আগে জানবে তারপর মানবে। মানুষ সংক্রামক আইন সম্পর্কে জানে না। অধিকাংশ মানুষই এই আইন সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল না হওয়ায় মানার বিষয়েও তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। আর এখনও সংক্রামক আইনে কাউকে সাজা দেয়ারও নজির নেই।

যদি এই আইনের ওপর সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় তবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য মানুষ যেন আইনটি সম্পর্কে জানতে পারে সে বিষয়ে আগে প্রচার-প্রচারণা ও সচেতনতা তৈরি করা জরুরি বলে অভিমত তাদের।

জানা গেছে, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮’র ক্ষমতাবলে সারাদেশকে সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসকেও সংক্রামক ব্যাধির তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। এ আইন লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।

Advertisement

করোনায় আক্রান্ত অনেক রোগী তথ্য গোপন করে হাসপাতালে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবার জন্য। এতে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাযুদ্ধের প্রথম সারির যোদ্ধা চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর জেরে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের যেতে হচ্ছে আইসোলেশনে, লকডাউন হয়ে যাচ্ছে পুরো হাসপাতাল। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের স্বাস্থ্য খাতে ভয়াবহ অচলাবস্থা নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমন পরিস্থিতিতে আইনজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কেউ সংক্রামক রোগের কথা গোপন করে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ছয় মাসের জেল অথবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের (জরিমানা) বিধান রয়েছে।

সংক্রামক আইন কতটা কার্যকর হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দেশের প্রচলিত ও বিদ্যমান সংক্রামক আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘কেউ যদি রোগ গোপন করে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে চান তাহলে তা প্রমাণিত হলে তাকে সংক্রামক আইনে ছয় মাসের জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আইনের ২৪ ধারায় বিষয়টি পরিষ্কার করে বলা আছে।’

মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘রোগ গোপনের মাধ্যমে রোগী নিজেরও ক্ষতি করলেন, অন্যের ক্ষতিও করছেন। এ কারণেই এ সাজার বিধানটা দেয়া হয়েছে। রোগীরা এ ধরনের আচরণ করলে এ সাজা দেয়া যেতে পারে। এ আইনের প্রয়োগ শুরু হলে এ জাতীয় অপরাধ কমে যাবে। এছাড়া এ মুহূর্তে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়াও জরুরি।’

কোন প্রক্রিয়ায় এ আইন প্রয়োগ সম্পন্ন হবে- জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আইনটি দুই পদ্ধতিতে প্রয়োগ হতে পারে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সম্ভব। সরকারের উচ্চপর্যায়ের কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রজ্ঞাপনের আলোকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে সাজাটা দিতে পারেন। অথবা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যেভাবে মামলা হয়, সেভাবে হবে। কিন্তু এখন তো দ্রুত এ সাজা নিশ্চিত করা দরকার, যাতে রোগীদের মধ্যে একটি উপলব্ধি জন্মে যে এ ধরনের অপরাধ করলে তাদের জেলে যেতে হবে।’

সংক্রামক ব্যাধির আইন সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সংক্রামক ব্যাধির এই আইনে এখন পর্যন্ত দেশের কোনো মানুষকে সাজা দেয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। আইন মেনে, লকডাউন অমান্য করার কারণে কারও সাজা দেয়া হয়েছে— এমন নজির খুঁজে পাচ্ছি না। তাহলে মানুষ এ বিষয়ে সচেতন হবে কীভাবে?’

তবে এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘রোগ গোপন করা এক জিনিস আর না জানা আরেক জিনিস। কারণ করোনাভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পেতে তো কয়েক দিন সময় লাগে। অনেক রোগী আসেন বিভিন্ন ব্যথা ও জ্বর-সর্দি বা অন্যান্য সমস্যা নিয়ে। কিন্তু তিনি তো করোনাভাইরাস বহন করছেন, যা রোগী নিজেও জানেন না। হয়তো ১৪-১৫ দিন বা তারও পর সেটা প্রকাশ পাবে। এখন যেহেতু সবখানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সুতরাং সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিয়েই চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। এভাবে তারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হবেন।’

২০১৮ সালে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২৪ ধারায় বলা হয়েছে-২৪ (১) : যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটাতে সহায়তা করেন বা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও অপর কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত ব্যক্তি বা স্থাপনার সংস্পর্শে আসিবার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি তাহার নিকট গোপন করেন তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ছয় মাস কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

আইনটি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়লে কমবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি, মতামত বিশেষজ্ঞদের। প্রয়োগ না থাকলে আইন থাকা, না থাকার সমান বলেও মতামত দেন আইনজ্ঞরা।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত রোগী, আশপাশের জনসাধারণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের সকলকে সতর্ক হতে হবে। রোগটি সংক্রমণজনিত ছোঁয়াচে ভাইরাস। এ বিষয়ে কারও জানা আছে সে হয়তো বলল- আমি আক্রান্ত। আবার কেউ বুঝতেই পারে না যে তার করোনার উপসর্গ আছে। এক্ষেত্রে দেশের সাধারণ মানুষ, চাকরিজীবী পেশাজীবী ব্যবসায়ী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারদের সচেতন হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সঠিক মাস্ক ও পিপিইসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকলেও স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স ও ডাক্তার সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।’

‘করোনায় আক্রান্ত রোগীরা তাদের রোগ বা তার শারীরিক অবস্থার ইতিহাস গোপন করছেন। অথবা না জেনে ডাক্তার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছাকাছি আসছেন। এতে পুলিশ ও ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন, পেশাজীবী হিসেবে আপনাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত’— এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোনো রোগী তথ্য গোপন করে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে চিকিৎসকের কাছে, পুলিশের কাছে না। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে হবে। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ করতে পারে। এরপর ব্যবস্থা নেব আমরা।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সাধ্যের মধ্যে যতটুকু আইন প্রয়োগ করার বিধান রয়েছে আমরা তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি। বাদবাকি আল্লাহর ইচ্ছা। এখন সকলকে সচেতন হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। কারণ এটি একটি ছোঁয়াচে এবং ভাইরাসজনিত প্রাদুর্ভাব বা রোগ।’

করোনা সংকট মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনী সদাতৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানার ব্যবস্থা করা যাবে। অথবা স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। তবে, সবকিছুই নির্ভর করছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ওপর।’

রোগীরা প্রায়ই তথ্য গোপন করে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন, এতে আক্রান্ত হচ্ছেন রাস্তায় কাজ করা বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা এবং হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা- এমন তথ্য জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ড. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এটি একদম সত্য, অনেকেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যাওয়ার বিষয় গোপন করেন, এমনকি লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পরও তা গোপন করে অন্য লক্ষণের কথা বলেন। অনেকে ওয়ার্ডে ধরাও পড়েছেন। পরে চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা করে দেখেছেন তারা করোনায় আক্রান্ত। তখন তাদের সাধারণ ওয়ার্ড থেকে আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে এ ধরনের ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে।’

এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব রোগীর অবস্থা এতটাই অসহায় থাকে যে চিকিৎসকদের পক্ষে তাদের পুলিশের কাছে দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এটি অপরাধ হলেও মানবিক কারণে কোনোপ্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয় না। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় মানুষের সচেতনতা। এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে রোগীদের বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু রোগীরা তাদের রোগ ও ইতিহাস গোপন করছেন। ইদানীং অনেক রোগী নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন, তাও স্বীকার করেন না। এতকিছুর পরও চিকিৎসকরা মানবতার খাতিরে চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘তাদের করোনার বিষয়ে আমরা যখন জানি তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। সুরক্ষার জন্য আমরা চিকিৎসকদের আউটডোর, ওয়ার্ডসহ সবসময় পিপিই পরে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছি। পিপিই ও মাস্ক পরে সচেতনতা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না আপাতত।’

এফএইচ/বিএ/এমএআর/জেআইএম