অতিরিক্ত যাত্রীবহন ঠেকাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা আগে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকাগামী পাঁচটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এছাড়া ভিড় ঠেকাতে লঞ্চের ডেকে যাত্রী তোলা বন্ধ এবং ডেকের কিছু যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়। পাশাপাশি মাস্ক না পরায় এবং পাবলিক প্লেসে ধূমপান করায় ৬ যাত্রীকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীবহন ঠেকাতে ও শারিরীক দূরত্ব নিশ্চিতে শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম নদী বন্দরে তদারকির দায়িত্ব পালন করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই দুটি টিমকে অভিযানে সহায়তা করেন র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। ভ্রাম্যমান আদালতের টিম দুটির নেতৃত্বে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন ও মো. নাজমুল হুদা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বিকেল থেকেই নদী বন্দরে যাত্রীদের ঢল নেমেছিল। কয়েকটি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের চেষ্টা করে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়। ভিড় বাড়তে থাকলে কয়েকটি লঞ্চের ডেকে যাত্রী তোলা বন্ধ এবং ডেকের কিছু যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত যাত্রী বহন ঠেকাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা আগে অর্থাৎ রাত ৮টার মধ্যে নদী বন্দর ত্যাগ করতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে এমভি কুয়াকাটা , সুন্দরবন-১০, সুরভী-৮, অ্যাডভেঞ্জার-১ ও ফারহান-৮ নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিকেল থেক রাত প্রায় ৮ পর্যন্ত নদী বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি-না তা তদারকি করা হয়। এ সময় মাস্ক না পরায় এবং পাবলিক প্লেসে ধূমপান করায় ছয় যাত্রীকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Advertisement
সাইফ আমীন/আরএআর/এমএস