সারাদেশে গত ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চলছে অফিস-আদালত। ঘরবন্দি মানুষ কাজে নেমেছেন। এ পরিস্থিতিতে এনজিওগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে কিস্তি আদায়ের। ইতিমধ্যে বেশকিছু এনজিও কিস্তি আদায়ে ঋণগ্রহীতাদের চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আব্দুল মতিন জানান, জোর করে কিস্তি আদায় করতে পারবে না ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী এনজিওগুলো। জোর করে ঋণের কিস্তি আদায়ের ক্ষেত্রে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, জোর করে কিস্তি আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মন জানান, বাধ্য করে কিস্তি না নেয়ার জন্য এনজিও কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও যদি কোনো এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
বৈশ্বিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবে না- সরকারের এমন নির্দেশনা ছিল। কিন্তু অফিস-আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার পর কিস্তি আদায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে এনজিওগুলো। এ পরিস্থিতিতে চলতি জুন মাসেও কিস্তি দিলে দিবে-না দিলে নাই।
জাহিদ খন্দকার/এএইচ