বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সব চিকিৎসককে সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
Advertisement
শুক্রবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জনানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ অধিশাখা-৪ কর্তৃক একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে, যাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত রোগীদের সরাসরি সেবা প্রদান করবেন।এসময় কেউ করোনা পজেটিভ হলে সরকারি বিধি মোতাবেক গ্রেড অনুযায়ী সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্রাপ্ত হবেন। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড নন কোভিড সব রোগীর চিকিৎসা দিতে হবে। এমতাবস্থা সরকারি ও বেসরকারি সব চিকিৎসক বর্তমানে সমান ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ড্যাব বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সব চিকিৎসককে সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
Advertisement
সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
তারা বলেন, বিশ্বের অন্য যেকোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পরীক্ষা অনেক কম হওয়ায় প্রকৃত করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে না বিধায় সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রবল স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। কোন রোগী করোনা পজেটিভ, কে পজেটিভ নন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা অনুধাবন করা সহজ নয়। ইতিমধ্যেই বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগ, অন্তঃবিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ এবং ফিভার ক্লিনিকসমূহে দায়িত্ব পালনকারী ১৮ চিকিৎসক মারা গেছেন।১৬০০ চিকিৎসকসহ দুই হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত, ক্রামাগতভাবে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা ডেটিকেটেড হাসপাতালের বাইরে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরাই বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং এদের প্রণোদনার বাইরে রাখা অনৈতিক, অন্যায়, নীতিবহির্ভূত।
তারা বলেন, এত বেশিসংখ্যক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও সরকার অধ্যাবধি চিকিৎসকদের সুচিকিৎসায় কোনো হাসপাতাল নির্ধারণ করেনি যা দুর্ভাগ্যজনক।
আমাদের স্বাস্থ্য কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনাকরী বেসরকারি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনার বাইরে রাখা হয়েছে যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিরাট বিভাজন, বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে ও নিকট ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মুখ থুবড়ে পড়বে।
Advertisement
এমতাবস্থায় সরকার জারিকৃত পরিপত্রটি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার পূর্বক দেশের সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রণোদনার আওতায় আনতে জোর দাবি জানান এবং করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকদের আলাদা হাসপাতাল নির্দিষ্টকরণের আহ্বান জানান।
কেএইচ/এএইচ