করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহাসহ মোট ৯ কর্মকর্তা। তারা সবাই প্রাণঘাতী করোনাজয়ী। তাদের কোভিড-১৯ এ ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে।
Advertisement
শুক্রবার (৫ জুন) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অধিদফতরের উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা। তিনি জানান, করোনাভাইরাসে ঢাকায় অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ মোট ৯ জন কর্মকর্তা এবং অফিস সহকারী গাড়িচালকসহ আরও ছয়কর্মী আক্রান্ত হন।
সব মিলিয়ে ১৫ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছিল। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ জন কর্মকর্তাসহ ১২ জনের কোভিড-১৯ এ ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। বাকি তিনজনের মধ্যে দুইজনের দ্বিতীয় দফার করোনা টেস্টের ফলাফল এখন পর্যন্ত হাতে এসে পৌঁছায়নি। বাকি একজনের টেস্ট এখনও করানো হয়নি।
এছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে একজন গাড়িচালক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তার দ্বিতীয় করোনা টেস্টের সময় হয়নি।
Advertisement
এদিকে অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, মহামারি করোনায় ভোক্তা অধিদফতরে গত ১৩ মে প্রথম আক্রান্ত হন প্রতিষ্ঠানটির আলোচিত কর্মকর্তা মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
এরপর ১৮ মে অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ আরও তিন কর্মকর্তা ও একজন গাড়িচালক করোনায় আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে অফিস সহকারী ও গাড়িচালকসহ মোট ১৫ জন আক্রান্ত হন।
অধিদফতরের যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা হলেন, মহাপরিচালক (ডিজি) বাবলু কুমার সাহা, উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা, আফরোজা রহমান, সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, রজবী নাহার রজনী, তাহমিনা বেগম, রোজিনা সুলতানা, মাহমুদা আক্তার, অধিদফতরের সহকারী হিসাব রক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, নমুনা সংগ্রহকারী আব্দুল কুদ্দুছ, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আব্দুল ওয়াহেদ, মহাপরিচালকের গাড়িচালক সোহেল আহমেদ, প্রধান কার্যালয়ের গাড়িচালক মিলিয়া খানম এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের গাড়িচালক মো. শরীফ মিয়া।
এদিকে অধিদফতরের প্রথম আক্রান্ত হওয়া মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ২১ দিন পর করোনা নেগেটিভ আসলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার (৩ মে) চতুর্থ দফা টেস্টে তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসে। তবে এখন তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানা গেছে।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সাধারণ ছুটির মধ্যেও করোনার স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিদিন মাঠে অভিযান পরিচালনা করেছেন ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট, রোজা ও ঈদ-উল-ফিতরে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল এবং সরবরাহ নিশ্চিতে অধিদফতরের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করেছেন।
রোজা রেখে রোদ-বৃষ্টির মধ্যে প্রতিদিনই একঝাঁক তরুণ কর্মকর্তা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পাইকারি, খুচরা বাজার, আড়তসহ বিভিন্ন সুপারশপেও অভিযান পরিচালনা করছেন। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানা করেছেন বিভিন্ন প্রতারক ও কারসাজিকারীকে।
এসআই/এমআরএম/জেআইএম