টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গাড়িতেই করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রশাসনের উদ্যোগ আর অর্থায়নে উপজেলাবাসীর জন্য চালু হয়েছে এই সেবা। এতে যেমন নিরাপদ হয়েছেন নমুনা দাতা, তেমনি নিরাপদ সংগ্রহদাতা। ঘরে বসে নমুনা দিতে পারায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক সাঁড়া ফেলেছে সেবাটি। এ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন উপজেলা সাধারণ মানুষ।
Advertisement
উপজেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যে জানা যায়, দেশে এই প্রথম চালু হয়েছে এই সেবা। গত ৪ জুন এর শুভ সূচনা হয়েছে। সেবায় নিয়োজিত রয়েছে একটি গাড়ি আর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ইর্মাজেন্সি রেসপন্স টিমের সদস্যরা।
উপজেলায় সেবাটি চালু হওয়া স্বস্তি প্রকাশ করে স্থানীয় রফিক, কাদের, সুজনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গাড়িতে নমুনা সংগ্রহ শুরু হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে এর সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা কমে গেছে। এছাড়াও থাকছে না অসুস্থ ব্যক্তির চলাচলের কোনো চিন্তা। শুধু ঘরে বসে তথ্য দিলেই তিনি দ্রুত পাচ্ছেন এই সেবা। উপজেলা প্রশাসনের এটি খুব ভালো উদ্যোগ বলেও জানান তারা।
কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান বলেন, উপজেলায় এ সেবা চালু হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক সাঁড়া ফেলেছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০টি করে নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে। মোবাইল ফোনে তথ্য পেয়ে তারা সরাসরি বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই নমুনা সংগ্রহ করছেন।
Advertisement
গাড়িতে বসেই এই নমুনা সংগ্রহ করায় এতে নমুনাদাতা ও নমুনা সংগ্রহকারী স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই বললেই চলে। জেলায় পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন স্থাপন হলে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়বে। এ সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের গাড়ি চালকসহ ইর্মাজেন্সি রেসপন্স টিমের সদস্যরা বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আরা নীপা বলেন, কোরিয়া ও ভারতের নমুনা সংগ্রহে গাড়ি ব্যবহারের এ প্রযুক্তি দেখে তিনি এ উপজেলায় সেবাটি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মাত্র আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে আর সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই গাড়ি।
এতে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা গাড়িতে বসে নমুনা সংগ্রহ করায় তাদের নেই পিপিই ব্যবহার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিই’র ব্যয় যেমন কমবে তেমনি থাকবে না তাদের ও নমুনাদাতার স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তেমনি এ সেবার ফলে আক্রান্তদের যাতায়াতে প্রয়োজন পড়বে না বলে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা অনেকটা কমে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।
আরিফ উর রহমান টগর/এমআরএম/পিআর
Advertisement