দেশজুড়ে

পাবনায় বাড়ি থেকে বাবা-মা ও মেয়ের পচন ধরা লাশ উদ্ধার

পাবনায় অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা, তার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুন) বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শহরের দক্ষিণ রাঘবপুরের একটি বাড়ির দরজা ভেঙে এই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

নিহতরা হলেন- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার (৬৫), তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন (৬০) এবং মেয়ে সানজিদা খাতুন জয়া (১৩)।

নিহত আব্দুল জব্বার ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সানজিদা জয়া পাবনা শহরের কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

নিহত আব্দুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশীনাথপুর ইউনিয়নের পাইকরহাটি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আ. মতিন সেখের ছেলে।

Advertisement

পাবনা সদর থানা পুলিশের ওসি নাসিম আহম্মেদ জানান, দক্ষিণ রাঘবপুরের ৪ ইউনিটের একটি দোতলা বাড়ির নিচ তলার ইউনিটে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন আব্দুল জব্বার। বাড়িটির দোতলা এবং নিচ তলার একটি ইউনিট ফাঁকা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ বিকেল ৩টার দিকে ওই বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ থেকে আব্দুর জব্বার এবং তার স্ত্রী ও অপর একটি কক্ষ থেকে মেয়ে সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি জানান, ধারণা করা হচ্ছে ৩-৪ দিন আগে দুর্বৃত্তরা তিনজনকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। মরদেহে পচন ধরেছে এবং গন্ধ বেরিয়েছে।

ওসি আরও জানান, আব্দুল জব্বার যে ইউনিটে ভাড়া থাকতেন সেই ইউনিটের কক্ষগুলো তছনছ করা এবং আলমিরা ভাঙা পাওয়া গেছে।

নিহতের স্বজন ও দুলাই সরকারি কলেজের প্রভাষক সালাউদ্দিন আহমদ জানান, আব্দুল জব্বার দাম্পত্য জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন। এজন্য তারা একটি মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন।

Advertisement

তিনি জানান, শহরের শালগাড়িয়ায় আব্দুল জব্বারের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। তবে তিনি দিলালপুরে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম বলেন, কী কারণে এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে উদঘাটন করা যাচ্ছে না। পুলিশ তদন্তে মাঠে নেমেছে। এছাড়া রাজশাহী থেকে পুলিশের বিশেষ টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সুরহতাল দেখতে রওনা হয়েছে।আলামত যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য রাজশাহী থেকে টিম না আসা পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ ওই বাড়িতেই থাকবে। পুলিশ বাড়িটি পাহারা দিচ্ছে।

এমএএস/পিআর