মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু হলেও চলছে লেনদেন খরা। বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের রেকর্ড হয়েছে। সেই সঙ্গে পতন হয়েছে সবকটি মূল্য সূচকের।
Advertisement
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিলের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এত কম লেনদেন হয়নি। ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল লেনদেন হয় ৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
লেনদেন খরার বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে কিন্তু কমেছে তার থেকে বেশি। ফলে সূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল শেয়ারবাজার।
এদিন লেনদেনের প্রথমদিকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়, যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।
Advertisement
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ্ ৩ পয়েন্ট কমে ৯১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ১১টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির। আর ২৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অঙ্কে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে এর পরের স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যাল।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লিন্ডা বিডি, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যাল, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, একমি ল্যাবরেটরিজ এবং রেকিট বেনকিজার।
Advertisement
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১০৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টির।
এমএএস/এমএফ/জেআইএম