মো. বিল্লাল হোসেন
Advertisement
বাংলাদেশে দিন দিন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। ঠিক এমন সময় লকডাউনও শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে মানুষের কাজে যোগ দেওয়ার তাগিদও বেড়ে গেছে।
গত ৩১ মে লকডাউন শিথিল করার পর মানুষ ছুটছে কর্মস্থলে। কর্মস্থলে যোগদানের জন্য চাই বাহন। কিন্তু গণপরিবহন ছাড়া তো আর কোনো সুযোগ নেই। ফলে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। গত দু’দিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই যাতায়াত করছেন।
ফলে সবাই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। হয়তো আক্রান্তও হচ্ছেন অনেকে। এমন সময়ে নিরাপদ বাহন হতে পারে বাইসাইকেল। বাইসাইকেল সহজলভ্য, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন। এটি যেমন শরীরকে ফিট রাখে; তেমনি সংক্রমণ থেকেও বাঁচতে সাহায্য করে।
Advertisement
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাইসাইকেল ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো-১. নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।২. করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।৩. যাতায়াতের সহজলভ্য ও টেকসই মাধ্যম।৪. প্রতিদিনের যাতায়াত ভাড়া সাশ্রয় হবে।৫. এটি একটি নিরাপদ বাহন।৬. বাইসাইকেল সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব।৭. এটি ভিড় এড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও বাইসাইকেল চালানোর অনেকগুলো শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। সেগুলো হলো-• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ইত্যাদি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।• মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যা করোনকালীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।• বাইসাইকেল চালানোর ফলে দেহে প্রচুর ক্যালরি বার্ন হয়, যা অতিরিক্ত ওজন কমায়।• বাইসাইকেল চালালে শরীরের পেশিগুলো সুগঠিত হয়।• ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা করোনার সময়ে অত্যন্ত জরুরি।• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।• দেহে এইজাইমের কার্যকলাপ বাড়ায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে এবং অপরকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় বাইসাইকেলের বিকল্প নেই। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে ও সংক্রমণ রোধে বাইসাইকেল হওয়া উচিত একমাত্র বাহন। তাই বাইসাইকেল ব্যবহার করুন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করুন।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
Advertisement
এসইউ/এমএস