দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে বরিশাল নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। তবে লঞ্চগুলোতে যাত্রী পরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী বহন করছে লঞ্চগুলো।
Advertisement
লঞ্চের ডেকে একজনের শরীরের সঙ্গে আরেকজন বসে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাস বিস্তারের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন থেকে নানা পদক্ষেপ নিলেও লঞ্চ মালিকদের উদাসীনতায় তা ব্যর্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লঞ্চ মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ জুন) বিকেলে বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লঞ্চ মালিকদের এ সতর্কবার্তা দেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘনসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনার ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধারণক্ষমতার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ অনুসরণ করে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দেয়া হয়।
Advertisement
একই সঙ্গে নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে যাত্রী পরিবহন সীমিতকরণের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রির লক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক টিকিট কাউন্টার স্থাপন ও অনলাইন টিকিট বিক্রির ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিপজ্জনকভাবে যাত্রী পরিবহন করছেন লঞ্চ মালিকরা। এতে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় তাদের সতর্ক করা হচ্ছে- বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা মতো স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ অনুসরণ করে ধারণক্ষমতার মধ্যে যাত্রী পরিবহন না করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
সাইফ আমীন/এএম/এমকেএইচ