করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার অবশেষে কোভিড-১৯ নেগেটিভ হয়েছেন। বুধবার (৩ মে) চতুর্থ দফা টেস্টে তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে বলে জাগো নিউজকে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
২১ দিন পর করোনা নেগেটিভ আসলো তার। জাগো নিউজকে তিনি জানান, করোনা নেগেটিভ এসেছে। এখন শ্বাসকষ্ট নেই। শরীরের ব্যথাও আগের তুলনায় অনেক কমেছে। তবে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছি।
এর আগে গত ২৭ মে থেকে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। শরীর ব্যথাসহ বেশকিছু সমস্যা দেখা দেয়। অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় গত ২৮ মে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে সিসিইউ ইউনিটে রাখা হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সবশেষ গত ৩০ মে তৃতীয় দফায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হলে তার ফলও পজিটিভ আসে বলে জানান তিনি। এর আগে ২৬ মে দ্বিতীয় দফা রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হলে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
গত ১৩ মে করোনার টেস্টে অধিদফতরের আলোচিত এ কর্মকর্তার কোভিড-১৯ পজিটিভ আসার পর তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
Advertisement
২০ মে তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা এবং মেয়ে তাইফা নূহা আশী (১২) ও ছেলে তানজিন শাহরিয়ার আরিফের (১০) করোনা টেস্টের পজিটিভ ফল আসে। তারাও এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
সব মিলিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহাসহ মোট ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাঁচজন সুস্থ হওয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ এ নেমে আসলো।
এখন পর্যন্ত যারা আক্রান্ত আছেন তারা হলেন- উপ-পরিচালক আফরোজা রহমান, সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, তাহমিনা বেগম, মাহমুদা আক্তার, অধিদফতরের সহকারী হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, নমুনা সংগ্রহকারী আব্দুল কুদ্দুছ, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আব্দুল ওয়াহেদ, মহাপরিচালকের গাড়িচালক সোহেল আহমেদ, প্রধান কার্যালয়ের গাড়িচালক মিলিয়া খানম এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের গাড়িচালক মো. শরীফ মিয়া।
এসআই/এসএইচএস/এমএস
Advertisement