কৃষি ও প্রকৃতি

হলুদ তরমুজ ৮০ টাকা কেজি, লাভবান চাষি

মাচা পদ্ধতিতে থাইল্যন্ডের হলুদ তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনপুর এলাকার মামুনুর রহমান। লাল তরমুজ থেকে প্রায় ৩ গুণ দামে বিক্রি হওয়া এই তরমুজ তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইসবপুর এলাকায় ১২ কিয়ার (২০ কিয়ারে ১ কাঠা) জমিতে চাষ করেছেন। কম সময়ে বেশি লাভজনক এ ফলের চাষ বাড়বে বলে আশা করেছে কৃষি বিভাগ।

Advertisement

চাষি মামুনুর রহমান জানান, থাইল্যান্ড থেকে বীজ এনে ১২ কিয়ার জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করেছেন তিনি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। বেশ ভালো ফল এসেছে। নতুন জাতের এ ফল বিভিন্ন এলাকার কৃষক দেখতে আসেন। বর্তমানে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই তরমুজ। ঢাকায় চাহিদা বেশি থাকায় তিনি সেখানে পাঠাচ্ছেন।

মামুন জানান, তিনি গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে বিশেষ জাতের হলুদ তরমুজের বীজ নার্সারি করে চারা উৎপাদন করেন। ২১ দিনের সময় চারাগুলো রোপণ করেন। এই তরমুজের গাছ লাগাতে এবং জমি চাষযোগ্য করতে ৪০-৫০ জন শ্রমিকের ২৫ দিনের মত সময় লেগেছে। পরে ১০-১৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেছেন। বর্তমানে ফল তুলছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি চালান ঢাকা পাঠিয়েছেন। ফল আসার পর মাচা দিয়েছেন। রোদের আলো ফেরাতে তরমুজের ওপর টিস্যু জাতীয় কাপড় এবং ব্যাগ বেঁধে দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, খরচ আরও কমানো যেত। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় বেশি হয়েছে। তবে লস হবে না। ২৪ হাজার পিস টার্গেট ছিল। কিন্তু সঠিক পদক্ষেপ নিতে না পারায় সেই লক্ষ্য অর্জন হয়নি। কৃষি বিভাগ থেকেও প্রথমে কোনো সাহায্য পাননি। পরে অবশ্য বারবার এসেছেন তার জমিতে। তবে যে টাকা ফেরত আসবে বলে ধারণা ছিল, সেটা হয়নি। এ ছাড়া করোনা না থাকলে লাভ বেশি হতো।

Advertisement

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক লুতফুর বারী জানান, এটি হাইব্রিড প্রজাতির তরমুজ। অনেক দেশে খুব জনপ্রিয়। এর স্বাদ ভালো। দাম বেশি। আমরা জানার পর সব ধরনের সাপোর্ট দিয়েছি। মৌলভীবাজারের মাটি এর জন্য খুবই ভালো।

রিপন দে/এসইউ/জেআইএম