তথ্যপ্রযুক্তি

আইটিইই খুলে দিলো আন্তর্জাতিক আইটি চাকরির বাজার

আইটি পেশাজীবীদের দক্ষতা পরিমাপে সম্প্রতি বাংলাদেশে চালু হওয়া ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশনে (আইটিইই) খুলে দিলো আন্তর্জাতিক আইটি চাকরির বাজার। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় বাংলাদেশের আইটি পেশাদাররা সম্পূর্ণ বিনা খরচে আইটিইই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সফলও হয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আইটিইইতে উত্তীর্ণ দুই বাংলাদেশি ভিয়েতনামে জাপানি আইটি প্রতিষ্ঠান ফ্রামজিয়াতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এরা হচ্ছেন গতবছরের আইটিইই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বুয়েটের শিক্ষার্থী এম দস্তগীর হোসেন ও এম আসিফুল হক। ফ্রামজিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাইহেই কোবায়েসি জানান, বাংলাদেশিদের জন্য জাপানের ফ্রামজিয়াসহ বিশ্বের সকল আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার আস্থা তৈরি করে দিচ্ছে আইটিইই। বাংলাদেশি আইটি পেশাজীবীদের প্রোগ্রামিং ও ইংরেজি দক্ষতা আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে সহায়ক। জাইকা-আইটিইই প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা হিদিও হোয়া বলেন, মাত্র দু’বছর হলো বাংলাদেশে চালু হওয়া আইটিইইতে ইতিমধ্যে ৮৩ জন আইটি পেশাদার উত্তীর্ণ হয়েছে। আমাদের আইটিইই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিলো আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি আইটি প্রফেশনালদের একটি ব্রান্ডিং তৈরি করা। এক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। ইতোমধ্যে বিশ্ব আইটি বাজারে কাজ করার সুযোগ পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশিরা।প্রকল্প সমন্বয়কারী আকিহিরো সুজি জানান, আমরা চেষ্টা করছি বিশ্বের ২য় বৃহত্তম আইটি চাকরির বাজার জাপানে আইটিইইতে উত্তীর্ণ বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে। আগামী ২৫ অক্টোবর সারাদেশে ৫ম আইটিইই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।আইটিইই জাপানে আইটি প্রোফেশনালদের মান নিয়ন্ত্রক জাতীয় পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত এবং বছরে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এশিয়ার ১৩টি দেশে মিউচুয়ালি এই পদ্ধতি চালু আছে। বাংলাদেশে এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর ফলে দেশের আইটি পেশাজীবীগণ তাদের দক্ষতার পরিমাপ করতে পারছেন এবং এই সার্টিফিকেট অর্জনের ফলে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অধীন ‘বাংলাদেশ আইটি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশন সেন্টার (বিডি-আইটেক)’ এর মাধ্যমে দেশে জাপান সরকারের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবীদের দক্ষতা পরিমাপক আইটিইই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়।এসএ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement