জাতীয়

নবাবগঞ্জে একই পরিবারের ৩ বৃদ্ধের সাভারে মৃত্যু

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় একদিনে একই পরিবারের তিন বৃদ্ধের সাভারে মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলার টিকরপুর বণিক বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।

Advertisement

তিনি জানান, সোমবার রাতে সাভারে তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামের বাসিন্দা মো. রশিদ খাঁন (৯৫), তার স্ত্রী (৮৫) ও ভাই মো. সিরাজ খান (৮০)। তারা সকলেই পরিবার নিয়ে সাভারে থাকতেন।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে মনির জানান, ওই তিনজন একই পরিবারের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে সাভারে থাকতেন। রাতে প্রথমে অসুস্থ হয়ে মারা যায় রশিদ খানের স্ত্রী। তার দাফনের পূর্ব মুহূর্তে মারা যায় স্বামী। কিছুক্ষণ পর মারা যায় রশিদের ভাই সিরাজ।

শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী রশিদ ও সিরাজের লাশ মঙ্গলবার তাদের গ্রামের বাড়িতে এনে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ও রশিদের স্ত্রীকে সাভারে দাফন করা হয়েছে। একদিনে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম।

Advertisement

তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা বা কোনো উপসর্গ ছিল কিনা জানতে চাইলে মনির বলেন, নিহতের পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছেন তারা বার্ধক্যজনিত কারণে স্ট্রোক করে মারা গেছে। কিন্তু তারপরও এলাকায় জনমনে শঙ্কা কাজ করছে। কারণ তারা সাভারে ছিলেন।

মনির বলেন, আমাদের নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের বাসিন্দা ভজন রাজবংশী (৫০) নামে একজন মারা যাওয়ার পর পরীক্ষায় তিনি আক্রান্ত প্রমাণিত হয়েছেন। উপজেলার আগলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সুরুজ খাঁন হঠাৎ ঢাকায়অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পরে পরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

এমনকি তার পরিবারের এখন আট সদস্য করোনায় আক্রান্ত যারা উপজেলার বেনুখালি এলাকার নিজ বাড়িতে আইসলোশনে থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।সুরুজ খান আক্রান্ত ছিলেন এ তথ্য নিশ্চিত করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ জানান, সে ঢাকায় মারা যাওয়ায় তাকে আমাদের উপজেলার তালিকায় রাখা হয়নি। তবে তার পরিবারের আক্রান্ত আরও ৮ জন আমাদের তালিকায় রয়েছেন।

কারণ তারা পরীক্ষা আমাদের মাধ্যমে করিয়েছেন। আক্রান্তদের তাদের নিজ বাড়িতে আইসলোশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা সকলেই ভালো আছেন বলে এ চিকিৎসক জানান।

Advertisement

আসাদুজ্জামান সুমন/এমআরএম