দেশজুড়ে

ঘোষণা দিয়েও আমদানি-রফতানি চালু করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা

করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় সাতক্ষীরা ভোমরা বন্দর দিয়ে সব আমদানি-রফতানি। দীর্ঘ দুই মাস আটদিন পর আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো পণ্য আমদানি-রফতানি করতে পারেননি ব্যবসায়ী। ভারতের ব্যবসায়ীদের কোনো নির্দেশনা না পাওয়া থমকে আছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।

Advertisement

ভোমরা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, সোমবার আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালুর জন্য ঘোষণা দেয়া হয়। তবে ভারতের ব্যবসায়ীদের কোনো সাড়া না পাওয়ায় কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত। তবে ভারতের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় কার্যক্রম থমকে আছে।

ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগোনা জেলার ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের বক্তব্য তুলে ধরে মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, ভারতে এখনও লকডাউন রয়েছে। এছাড়া বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু করতে সেখানে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম এখনও সম্পন্ন হয়নি। এছাড়া তারাও সেখানকার প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠক করছেন যেকোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তখন আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সচল হয়ে যাবে।

Advertisement

ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা এনাম হোসেন বলেন, বন্দরের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানির ঘোষণা দিলেও ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। বাংলাদেশ থেকেও কোনো গাড়ি ভারতে যায়নি। আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি ৮ জুন থেকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু করবেন। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চালু করলেই বন্দর সচল হয়ে যাবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

আকরামুল ইসলাম/এএম/এমকেএইচ

Advertisement