করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে আবাদি জমি পতিত রাখা যাবে না।
Advertisement
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির উন্নতি নেই। প্রতিদিনই অবস্থার অবনতি হচ্ছে। যদিও দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পরও সরকার সম্প্রতি তা অনেকটা শিথিল করে দিয়েছে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রধানমন্ত্রী এক ইঞ্চি জমিও পতিত না রাখার কথা বলেছেন।
Advertisement
এ বিষয়ে কী উদ্যোগ আছে জানতে চাইলে ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী জাগো নিউজকে বলেন, কেউ যদি দীর্ঘদিন কোনো জমি চাষবাদ না করে পতিত রাখেন তবে ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনে এ বিষয়ে ধারা আছে। আইন অনুযায়ী দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেই জমি সরকার খাস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। জেলা প্রশাসক সেটা করেন। তবে আমরা এখন সেদিকে যাচ্ছি না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটা কথা বলেছেন, এখন এক ইঞ্চি জমিও অকর্ষিত (পরিত্যক্ত) থাকবে না। সেজন্য আমরা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে চাচ্ছি কেউ যাতে তাদের জমি অকর্ষিত না রাখেন। কেউ যদি তার নিজের জমি চাষ না করেন তবে তিনি অন্যকে বর্গা দিক বা অন্য কোনো উপায় অবলম্বন করুক যাতে জমিতে চাষবাদ হয়।
ভূমি সচিব বলেন, আমাদের মহামূল্যবান কৃষি জমি এভাবে পড়ে থাকুক, এটা আমরা চাই না। জাতির খাদ্য নিরাপত্তার জন্যই পতিত জমি চাষ করা প্রয়োজন। সেই বিষয়ে আমরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমার জমি আছে, আমি তো ঢাকায় চাকরি করি, তাই বলে তো আমার জমি পড়ে নেই, সেখানে চাষাবাদ হচ্ছে।
Advertisement
মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, যে পদ্ধতি তার জন্য বাস্তবসম্মত হয় সেভাবেই সে তার জমি চাষাবাদ করুক। দীর্ঘদিন চাষাবাদ না করলে জমি খাস করে নেয়া একটা দীর্ঘ আইনগত জটিল পদ্ধতি। আমরা ওইভাবে কাউকে বাধ্য করতে চাই না। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বড় বড় জমির মালিক তাদেরকে বলব। অনেক জমির মালিক আছেন যারা বিদেশে থাকেন, তারা যাতে জমিগুলো চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন।
দীর্ঘদিন জমি পতিত রাখলে তা খাস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার যে আইন আছে, সেটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে কিনা- এ বিষয়ে সচিব বলেন, এ বিষয়টি আমরা এখনও সেভাবে ভাবিনি। আইনে যেহেতু আছে সেটা তো আপনার বাস্তবায়ন করতেই পারি। সেটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, তবে আইনই শেষ কথা না।
তিনি বলেন, পতিত জমি চাষাবাদ করলে যার জমি তার লাভ, আলটিমেটলি দেশের লাভ।
আরএমএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ