আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি ৮ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে

মহামারি করোনার আগে থেকেই পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছিল। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর বিশাল এক সংকটে পড়েছে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি। গত বছরের মে মাসের তুলনা এ বছর মে মাসে দেশটির কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) বা ভোক্তা মূল্যসূচক অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ২২ শতাংশ।

Advertisement

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী সোমবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এই তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া এপ্রিলে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৯-২০ এর জুলাই থেকে মে পর্যন্ত দেশটির এই মুদ্রাস্ফীতির হার এখন ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।

কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) হার সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায় গত জানুয়ারিতে। তখন তা ছিল ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ এখন ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছরের মে মাসের তুলনায় যা ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। পরিবহন খাতে একই সময়ে এই হার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ রেকর্ড হয়েছে।

করোনার কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য রেকর্ড পরিমাণে কমে যাওয়ায় গত কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তানে পেট্রোলিয়ামের দাম মারাত্মকভাবে হ্রাস প্রায়। গত রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পেট্রোলিয়ামের মূল্য ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হিসেবে এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৩২০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ৫৭৪ মারা গেছে। এছাড়া সুস্থ হয়েছে ২৬ হাজারে কিছু বেশি। সবচেয়ে বাজে অবস্থা সিন্ধ ও পাঞ্জাব প্রদেশের।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে বসবাসে অভ্যস্ত হতে হবে জনগণকে। দেশটিতে ফেব্রুয়ারির শেষে রোগী শনাক্ত হলেও লকডাউন করা হয় ১ এপ্রিল। দুই দফায় এর মেয়াদ বাড়িয়ে ৯ মে থেকে লকডাউন শিথিল করা শুরু করে সরকার।

এসএ

Advertisement