চারটি সংসদীয় আসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এসব আসনের উপ-নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তাবনা চেয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
সোমবার (১ জুন) নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত ৬৩তম কমিশন বৈঠকে ইসি সচিবালয়ের কাছে এ প্রস্তাবনা চেয়েছে কমিশন। সচিবালয়ের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বিকেল তিনটায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের এজেন্ডায় এইসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া।
বৈঠক শেষে ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি পরবর্তী বৈঠকের কোনো তারিখ দেননি কমিশন। নথিতে প্রস্তাবনা দিলে, সে অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন কমিশন।
বৈঠকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিনেদিনে বাড়ছে। এই অবস্থায় ভোটের আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নির্ভর করবে পরিস্থিতি উন্নতির ওপর।
Advertisement
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচনের সকল সময়সীমা পার হয়ে গেলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। যদিও সিইসি ইতোমধ্যে বলেছেন, তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করে সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে প্রয়োজনে ব্যাখ্যা নেবেন।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সরকারের। তাই চসিকসহ অন্যান্য নির্বাচন সরকার যখন চাইবে, তখন করবে ইসি। তারপরও সকল নির্বাচনের পর্যালোচনামূলক প্রস্তাবনা নথিতে দিতে বলেছে ইসি। সে অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বগুড়া-১, যশোর-৬, পাবনা-৪ ও ঢাকা-৫ সংসদীয় আসন শূন্য। আর চট্টগ্রাম সিটির ভোট নিয়েও বৈঠক করা জরুরি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং বগুড়া-১, যশোর-৬ সংসদীয় আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ। কিন্তু দেশে করোনা হানা দেয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তা স্থগিত করে ইসি।
সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বগুড়া-১, যশোর-৬ সংসদীয় আসনে সেটা মানা সম্ভব হয়নি। তবে সংবিধানে এও বলা আছে ‘দৈব-দূর্বিপাকের কারণে’ উপ-নির্বাচন করার জন্য আরও ৯০ দিন পাওয়া যাবে। নির্বাচন কমিশন এখন সেই সুযোগ নিচ্ছে। এরপরও করোনার কারণে নির্বাচন করতে না পারলে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে ইসি।
Advertisement
অন্যদিকে জুলাইয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ঢাকা-৫, পাবনা-৪ শূন্য আসনে উপনির্বাচনে এখনও যথেষ্ট সময় আছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জানুয়ারি সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন শূন্য হয়। পাবনা-৪ আসনের (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ২ এপ্রিল। ঢাকা-৫ আসনের (ডেমরা-দনিয়া-মাতুয়াইল) সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৬ মে।
এইচএস/এমআরএম