দেশজুড়ে

ছেলের এসএসসির ফলাফল দেখে কাঁদছেন পুলিশ বাবা

লিভারজনিত সমস্যায় মারা যাওয়া সাজিদুল ইসলাম পেয়েছে জিপিএ-৫। পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল সাজিদুল ইসলাম।

Advertisement

রোববার (৩১ মে) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। এরপর ছেলের ফলাফল দেখে অঝোরে কাঁদলেন বাবা পটুয়াখালী ডিএসবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা পটুয়াখালী ডিএসবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন ও সাবিনা ইয়াসমিন দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে সাজিদ। বড় ছেলেকে হারিয়ে মা সাবিনা ইয়াসমিন গাগলপ্রায়।

সাজিদের বাবা মো. মামুন বলেন, ছেলেকে বাঁচাতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। পটুয়াখালী, বরিশাল ও ঢাকায় তাকে চিকিৎসক দেখিয়েছি। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি ছেলেকে। আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, সাজিদকে কোনোদিন অজু ছাড়া ঘুমাতে দেখিনি। সে সবসময় মৃত্যু নিয়ে ভাবতো। এক মাস আগে ফলাফল দিলে হয়তো ফলাফল দেখে যেতে পারতো সাজিদ।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ছেলে সবসময় বলতো আমি যদি মরে যাই; আমাকে বরিশাল মুসলিম কবরস্থানে দাফন করিও। সত্যি সত্যি ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে যাবে- আমি কখনও বুঝতে পারিনি।

জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের ইমাম বলেন, শিক্ষার্থী সাজিদ ধর্মভীরু ছিল। সবসময় নামাজ পড়তে মসজিদে আসতো। এতো অল্প বয়সে সাজিদ মারা যাবে কল্পনা করিনি। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুক।

সাজিদের বন্ধু সাগর চৌধুরী জানায়, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভালো ছাত্র ছিল সাজিদ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে সাজিদ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সাজিদ ২২ এপ্রিল দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছে। আল্লাহ সাজিদকে জান্নাতবাসী করুক।

Advertisement

সাজিদের আরেক বন্ধু মারুফুল ইসলাম আতিফ জানায়, বন্ধু সাজিদ ছিল অনেক মেধাবী। আমরা সবাই পাস করেছি। বন্ধু যদি বেঁচে থাকতো তবে আনন্দটা আরও বেড়ে যেতো। আমার বন্ধুর জন্য দোয়া করবেন; আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।

পটুয়াখালী জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জলিলুর রহমান বলেন, সাজিদ ছিল মেধাবী। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুক।

মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/এএম/এমকেএইচ