জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি। একইসঙ্গে উপজেলা পরিষদের ক্ষমতায়নের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সার্কুলার সংশোধনেরও দাবি জানিয়েছে কমিটি।বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহাল এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৭ টি সার্ভিসের সেলফ ড্রয়িং কর্মকর্তাদের বেতনভাতা ও অন্যান্য বিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ( ইউএনও) স্বাক্ষর ও অযাচিত নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়, কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উপজেলা পরিষদের ক্ষমতায়নের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠানমূলক একটি অফিস স্মারক জারি করা হয়েছে। বক্তারা জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা অফিস স্মারকে উপজেলা পরিষদকে অধিকতর কার্যকর করার নামে পেশাদার ও কারিগরিসহ উন্নয়নমুখী দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা উত্তোলন, প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ ও তদারকিসহ সকল ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অযৌক্তিক ও অযাচিত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত দেশের সকল দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চরম অবমাননাকর। ফলে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ সময় তারা বলেন, উপজেলা পর্যায়ে অনেক কর্মকর্তা ও সিনিয়র কর্মকর্তা বেতন স্কেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চেয়ে সিনিয়র। একজন জুনিয়র কর্মকর্তাকে নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের প্রশাসনিক রীতির পরিপন্থী। এছাড়াও সেলফ ড্রয়িং অফিসারের বেতনভাতা বিল অন্য বিভাগের কর্মকর্তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল রুলসের পরিপন্থী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রকৃচি কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সচিব প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব মোবারক আলী, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ইকবাল আর্সলান, বিসিএস সমন্বয় কমিটির মহাসচিব ফিরোজ খান প্রমুখ।এএস/এসআইএস/পিআর
Advertisement