জাতীয়

ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি ১১ সংগঠনের

‘তামাক কোম্পানির কূটচাল রুখে দাও, তামাক ও নিকোটিন থেকে তরুণদের বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে রোববার সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হলো বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে তরুণ সমাজের জন্য হুমকি ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী ১১টি সংগঠন।

Advertisement

রোববার বিকেলে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (ভ্যাপিং, ই-সিগারেট) একধরনের নতুন পণ্য। তামাক কোম্পানিগুলো সুকৌশলে তরুণদের এই পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রচারণা করে যাচ্ছে। প্রতিবছর তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়, এই ভোক্তাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে তরুণরাই তামাক কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আমরা বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে দেশের তরুণদের রক্ষায় ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (ভ্যাপিং, ই-সিগারেট) জাতীয় পণ্য নিষিদ্ধ করাতে সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’

দিবসটি উপলক্ষ্যে ২৯ মে একটি ফেসবুক লাইভের আয়োজন করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির গবেষণা সেল টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি)। ‘তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন হুমকি: ই-সিগারেট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সেদিন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আমেরিকায় ই-সিগারেটকে মহামারি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অনেকে। আমাদের দেশে এখনও ই-সিগারেট ব্যবহারকারী খুবই কম। সুতরাং আমাদের এখনই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা উচিত।’

ওইদিন দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক (বাংলাদেশ) অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ই-সিগারেট বিশ্বের ২৪টির বেশি দেশ নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশেও এ পণ্য নিষিদ্ধে আইন জারি করা জরুরি। দ্রুততম সময়ে রাজস্ব বোর্ডের এইআর কোড হতে এ পণ্য সরানোর পাশাপাশি অনলাইনের যেসব প্রতিষ্ঠান বিক্রি করছে তাদের সাইটগুলো বন্ধ করতে হবে।’

Advertisement

টিসিআরসির গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে তরুণদের আকৃষ্ট করতে ই-সিগারেট দোকানগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক (তথা আশপাশে) গড়ে তোলা হয়েছে। তরুণদের আকৃষ্ট করতে তারা অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন তৈরি করছে। ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবিতে এই বিবৃতি দেয়া ১১টি সংগঠন হলো- ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ), টিসিআরসি, এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা), বাংলাদেশে ক্যান্সার সোসাইটি, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।

পিডি/জেডএ/এমকেএইচ

Advertisement